যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন হওয়ায় ছাঁটাই-অবৈতনিক ছুটিতে বাধ্য হচ্ছেন হাজারও ফেডারেল কর্মী। অর্থবছরের শেষ দিনেও প্রশাসনের ব্যয় সংক্রান্ত বিল সিনেটে পাস না হওয়ায় শাটডাউন হয়ে যায় মার্কিন সরকার। ফলে কার্যত অচলাবস্থার মুখে পড়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
বিল অনুমোদন না হওয়ায় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাত থেকে সরকারি তহবিল থেকে অর্থছাড় বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে জরুরি সেবা ছাড়া অন্য সব সরকারি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র এর আগে এ ধরনের শাটডাউন হয়েছিল ২০১৮-১৯ সালে। তখনো ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
এবারও শাটডাউন হলে ফেডারেল সরকারে ব্যাপকহারে ও ‘অপরিবর্তনযোগ্যভাবে’ কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তার নির্দেশনা অনুসারে, কয়েকদিন আগেই অফিস অব বাজেট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থাগুলোকে জনবল কমানোর পরিকল্পনার খসড়া তৈরি শুরু করতে বলে।
সাধারণভাবে এ ধরনের শাটডাউনের ক্ষেত্রে জরুরি নয় এমন সরকারি কর্মীরা ‘আনপেইড লিভ’ বা অবৈতনিক ছুটিতে থাকেন।
যেভাবে হলো শাটডাউনমঙ্গলবারই ছিলে চলতি অর্থবছরের শেষ দিন। এদিনেই সরকারের ব্যয়ের জন্য বরাদ্দ তহবিলের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু সিনেটে বিলটি নিয়ে একমত হতে পারেননি রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট সদস্যরা।
সাধারণত ১ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রে নতুন অর্থবছর শুরু হওয়ার আগে যদি কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো না যায়, তাহলে শাটডাউন পরিস্থিতি তৈরি হয়। এর ফলে অপ্রয়োজনীয় বলে বিবেচিত সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। অনেক জরুরি সেবাও বিঘ্নিত হয়।
হোয়াইট হাউজ তাদের ওয়েবসাইটে শাটডাউনের কাউন্টডাউন ঘড়ি চালু করেছে। এতে ‘ডেমোক্র্যাট শাটডাউন’ শব্দগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আমেরিকানরা ডেমোক্র্যাটদের কাজের সঙ্গে একমত নয়।
যদিও রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা এমন পরিস্থিতির জন্য পরস্পরকে দায়ী করেছে। দেশটির কংগ্রেসের উভয় কক্ষ এখন রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে। তারপরেও তারা বিলটি পাসের জন্য প্রয়োজনীয় ভোট নিশ্চিত করতে পারেনি।
রিপাবলিকান নেতা জন থুনে বিল পাসে ব্যর্থতার পর হতাশা প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি সরকারি ব্যয়ের জন্য একটি সমঝোতার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন। ‘ডেমোক্র্যাটরা হয়তো সরকারের শাটডাউনের পথ বেছে নিতে পারে। তবে আমি আশা করি এটি কালই আবার চালু হয়ে যাবে,’ সাংবাদিকদের বলেন তিনি।
সূত্র: বিবিসি বাংলাকেএএ/