শেরওয়ানির আভিজাত্য সাধারণত পুরুষদের পোশাকে সীমাবদ্ধ থাকলেও, প্যারিস ফ্যাশন উইকের মঞ্চে সেই ধারণাকেই ভেঙে দিলেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। মণীশ মালহোত্রার ডিজাইন করা হীরাখচিত ঝলমলে শেরওয়ানিতে তিনি যেন হয়ে উঠলেন এক নতুন ফ্যাশন ভাষার নির্মাতা। ঐতিহ্য আর আধুনিকতার নিখুঁত মেলবন্ধনে ঐশ্বরিয়া শুধু পোশাক পরেননি, বরং এক অনন্য স্টাইল আইকন হিসেবে বিশ্বমঞ্চে হাজির হয়েছেন।
প্যারিসের ফ্যাশন মঞ্চে আলো ঝলমলে মুহূর্তে যেন সময় থমকে দাঁড়িয়েছিল। ল’রিয়াল প্যারিস স্প্রিং ২০২৬-এ আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই দর্শকদের নজর কাড়লেন ঐশ্বরিয়া রাই। মণীশ মালহোত্রার ডিজাইন করা ঝলমলে শেরওয়ানিতে তিনি যেন হয়ে উঠেছিলেন এক আধুনিক রূপকথার রাজকন্যা।
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ল’রিয়াল প্যারিসের গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর ঐশ্বরিয়া। তিনি শুধু ব্র্যান্ডের মুখ নয়, বরং সৌন্দর্য, আত্মবিশ্বাস ও শক্তির নতুন সংজ্ঞা বহন করেন। এবারের পোশাকে প্রতিটি সূক্ষ্ম নকশা যেন বলছে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার এক অপূর্ব মেলবন্ধন।
আরও পড়ুন:সেফটিপিনের ছোট্ট লুপে লুকিয়ে আছে বড় রহস্যসোশ্যাল মিডিয়ার নতুন ফ্যাশন সেনসেশন রাশা থাডানি
শেরওয়ানির উঁচু কলার, হীরাখচিত বোতাম, আর হাতজুড়ে সূক্ষ্ম হীরার এমব্রয়ডারি তার লুকে এনেছে এক অনন্য মহিমা। সঙ্গে ফ্লেয়ারড ট্রাউজার ও হাই হিলে ঐশ্বরিয়ার উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া ও নিখুঁত। পোশাকের পরিপূরক হিসেবে তার কাঁধে শোভা পেয়েছে মণীশ মালহোত্রার জুয়েলারির সিগনেচার ‘ম্যাজেস্টিক রিগালিয়া’ ব্রোচ, যা তৈরি করতে লেগেছে প্রায় ১৫০০ ঘণ্টার কারুশিল্পীর নিবিড় শ্রম।
অবশ্যই, ঐশ্বরিয়ার বিউটি লুকও ছিল সমান শক্তিশালী-ক্লাসিক উইংড আইলাইনার, আইকনিক লাল লিপস্টিক আর হীরার স্টাডের ঝলক যেন তাকে পরিণত করেছে সত্যিকারের ডিভায়।
সেই মুহূর্তে মনে হচ্ছিল তিনি শুধু একজন অভিনেত্রী নন; তিনি এক জীবন্ত রূপকথা, যিনি সৌন্দর্যের পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস ও মর্যাদারও প্রতীক।
জেএস/এএসএম