এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তমালিকা কর্মকার এখন প্রবাসী। বছর পাঁচেক হলো যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে থিতু হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ঢাকায় এসেছেন তিনি। তার এই সফরের কারণ আপ্লুত করবে যে কোনো মানুষকে।
তমালিকা জানিয়েছেন পরিবারের মানুষদের চমকে দিতে কাউকে না জানিয়েই ঢাকায় এসেছেন তিনি। চমকে দেওয়ার কারণও ছিল। সে প্রসঙ্গে তমালিকা বলেন, ‘দেশে আসার কোনো পরিকল্পনাই আমার ছিল না। পূজার আগে যখন বাবার সঙ্গে ফোনে কথা হচ্ছিল, তিনি বললেন আমাকে নিয়ে পূজামণ্ডপে ঘুরতে পারলে ভালো লাগতো। তার এই কথা শুনে আমার খুব খারাপ লাগলো। তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি যে, বাবার সঙ্গে মণ্ডপে ঘুরতে হবে। আমার টিমের সুমন আর মোনা ছাড়া আর কাউকে দেশে আসার কথা জানাইনি।’
ঢাকায় পুরাতন সহকর্মীদের অনেকের সঙ্গে দেখা হয় তমালিকার। বিশেষ করে নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর সান্নিধ্য আপ্লুত করে তমালিকাকে। তিনি বলেন, ‘দেশে আসার পর মা-বাবা এবং চয়ন দিদি মাকে দেখে অবাক হয়েছেন। খুশিতে কেঁদে ফেলেছেন। আমিও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ি।’
এতদিন পর এসে কেমন দেখলেন ঢাকা? এই প্রশ্নে তমালিকা বলেন, ‘ঢাকায় এলে আমি সবসময়ই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি। ঢাকা শহরের অনেক পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু আমার প্রিয় মানুষগুলো এখনো আগের মতোই আছে। তাদের এই ভালোবাসা নিয়েই আমি বেঁচে থাকতে চাই। সবার কাছে দোয়া চাই।’ দ্রুত নিউজার্সিতে ফিরে যাবেন, জানালেন এই অভিনেত্রী।
১৯৯২ সালে আরণ্যক নাট্যদলের ‘পাথর’ নাটকের মাধ্যমে মঞ্চাভিনয় শুরু করেন তমালিকা। এরপর আরণ্যকের ‘ইবলিস’, ‘জয়জয়ন্তী’, ‘খেলা খেলা’, ‘ওরা কদম আলী’, ‘প্রাকৃতজন কথা’, ‘রাঢ়াঙ’, ‘বিদ্যাসাগর’ এবং ‘ময়ূর সিংহাসনে’ অভিনয় করে মঞ্চে শক্ত অবস্থান তৈরি করেন।
তমালিকা অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘অন্য জীবন’। ১৯৯৬ সালে ‘এই ঘর এই সংসার’ ছবিতে আলীরাজের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি। ২০০০ সালে ‘কিত্তনখোলা’ চলচ্চিত্রে বেদের মেয়ে ডালিমন এবং ২০১২ সালের ‘ঘেটুপুত্র কমলা’য় কমলার মা তার অভিনীত দুটি বিশেষ চরিত্র। এ ছাড়া বেশ কিছু টিভিনাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী হওয়ার পর ২০২২ সালে বিয়ে করেন তমালিকা। চলতি বছরের শুরুতে এ নিয়ে নতুন করে আলোচনা তৈরি হয় সামাজিক মাধ্যমে। বর্তমানে স্বামীকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন অভিনেত্রী। অভিনয় ছেড়ে যুক্ত হয়েছেন ভিন্ন পেশায়।
আরএমডি