নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় সালিশ বৈঠকে হাতুড়ির আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলমগীর (৫৫) নামে এক হোসিয়ারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শাহী মসজিদ এলাকার রহিম মিয়ার বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত হোসিয়ারী শ্রমিক আলমগীর বন্দর শাহী মসজিদ এলাকার মৃত সোবহানের ছেলে ও মালেক শিকদারের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
স্থানীয়রা জানান, নিহত আলমগীরের ছেলে মুন্নার সঙ্গে স্বল্পের চক এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে জুয়েলের মোটরসাইকেল নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয়ভাবে একটি সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সালিশ চলাকালে আলমগীর ও জুয়েলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ জুয়েল হাতে থাকা হাতুড়ি দিয়ে আলমগীরের মাথায় সজোরে আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলমগীরের মৃত্যু হয়।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী বলেন, শাহবাগ থানা আলমগীরের মৃতদেহের সুরতহাল করে। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেলে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। সেই সঙ্গে সন্ধ্যায় নিহতের মরদেহ বন্দর নিয়ে আসা হয় ও দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়। এ ঘটনায় বন্দর থানায় নিহতের পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চালছে।
মোবাশ্বির শ্রাবণ/এমএন