দীর্ঘ ১২ দিন অজ্ঞাতপরিচয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মারা যান এক ব্যক্তি। পরিচয় না পাওয়ায় মরদেহটি পড়েছিল হাসপাতালের হিমঘরে। অবশেষে সেই মরদেহের পরিচয় মেলেছে।
ওই ব্যক্তির নাম মুন্নাফ মিয়া (৪৫)। তিনি ঢাকার আশুলিয়া থানার ধলপুর গ্রামের মৃত সামসুল হকের ছেলে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মুন্নাফ দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন এবং প্রায় তিন বছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন।
রোববার (৫ অক্টোবর) পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নিহতের পরিচয় শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
বিকেলে নিহত মুন্নাফের ভাই সোহরাব ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে মরদেহ গ্রহণ করেন। এসময় মুন্নাফের মা, মামা, চাচা ও ফুপাতো ভাই উপস্থিত ছিলেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের মাঝিয়ারা গ্রামে এক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন মুন্নাফ। পরে নবীনগর থানা পুলিশ স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্সচালক জুয়েলের সহায়তায় তাকে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সেদিনই ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরে মেডিসিন বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়। টানা ১২ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে তিনি মারা যান।
নিহতের ভাই মো. সোহরাব বলেন, ‘প্রায় তিন বছর আগে আমার ভাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর আর কোনো খোঁজ পাইনি। আজ অবশেষে তার মরদেহ পেয়েছি। এজন্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।’
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/এমএস