হজ নিবন্ধনের অর্থ জমা দেওয়ার সুবিধার্থে আগামী শনিবার (১১ অক্টোবর) সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখাগুলো খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যাংক লেনদেনের নির্ধারিত সময়ের পরেও যতক্ষণ পর্যন্ত হজ নিবন্ধনকারীরা অর্থ জমা দিতে আসবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত অর্থ গ্রহণের ব্যবস্থা রাখার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ২০২৬ সালের হজ নিবন্ধনের অর্থ জমাদানের সুবিধার্থে হজ সংক্রান্ত ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখাগুলোকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে শনিবার স্বাভাবিক সময়সূচি অনুযায়ী খোলা রাখতে হবে।
এছাড়া ১২ অক্টোবর পর্যন্ত লেনদেন সময় শেষে যতক্ষণ হজ নিবন্ধনকারীরা উপস্থিত থাকবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত অর্থ জমা গ্রহণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ‘ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১’-এর ৪৫ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে জনস্বার্থে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এর আগে, গত ১৩ আগস্ট, সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতে হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের অনুমতি পায় ৩৩টি বাণিজ্যিক ব্যাংক। এই ব্যাংকগুলো হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন ফি সংগ্রহের দায়িত্বও পালন করছে।
অনুমোদিত ব্যাংকগুলো হলোসোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, দ্য সিটি ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রাক-নিবন্ধনের অর্থ প্রতি ৩০ দিন পরপর সোনালী ব্যাংকের নির্ধারিত হিসাবে স্থানান্তর করতে হবে। এছাড়া, কোনো হজযাত্রীর বিপরীতে কোনো হজ এজেন্সিকে ঋণ দেওয়া যাবে না।
হজযাত্রীর নিবন্ধন বা প্রাক-নিবন্ধনের অর্থ সংশ্লিষ্ট এজেন্সির ব্যাংক হিসাবে জমা থাকবে এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত খাত ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহার বা স্থানান্তর করা যাবে না। মন্ত্রণালয় ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২২ (সংশোধিত)’ যথাযথভাবে অনুসরণেরও নির্দেশ দিয়েছে।
ইএআর/এমএএইচ/এমএস