ইন্দোনেশিয়ায় একটি স্কুল ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ জনে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর পূর্ব জাভা প্রদেশের সিদোয়ারজো শহরের আল খোজিনি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুপুরের নামাজ চলাকালে বহুতল ভবনটি ধসে পড়ে। সে সময় ১৭০ শিক্ষার্থী নামাজের জন্য জড়ো হয়েছিল। স্থানীয় এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর এএফপির।
এদিকে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার (বাসার্নাস) প্রধান মোহাম্মদ সায়াফি এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার নবম দিনে আমরা অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শেষ করছি।
সংস্থার অপারেশন ডিরেক্টর যুধি ব্রামান্ত্যো বলেন, উদ্ধারকারীরা মঙ্গলবার ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারের কাজ শেষ করেছেন, তল্লাশি চালিয়েছেন এবং তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, আর মৃতদেহ খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
এক সংবাদ সম্মেলনে যুধি ব্রামান্ত্যো বলেন, ১৭১ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬৭ জন মারা গেছেন এবং ১০৪ জন বেঁচে দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছেন। তিনি আরও বলেন, এটি ছিল এখন পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে মারাত্মক দুর্যোগ।
জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার (বিএনপিবি) উপ-প্রধান বুদি ইরাওয়ান বলেন, এখনো সেখানে মৃতদেহ থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। তদন্তকারীরা স্কুলটি ধসে পড়ার কারণ অনুসন্ধান করছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাথমিক ইঙ্গিত থেকে বোঝা যাচ্ছে যে নিম্নমানের নির্মাণকাজ এই ঘটনার জন্য দায়ী হতে পারে।
আল খোজিনি স্থানীয়ভাবে ‘পেসানত্রেন’ বা ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল নামে পরিচিত। ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম জনগোষ্ঠীর দেশ। সরকারি হিসাব অনুসারে, দেশটিতে প্রায় ৪২ হাজার ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলে ৭০ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।
টিটিএন