জাতীয়

প্রতিবন্ধীদের ঘরে বসে ভোট দেওয়ার প্রস্তাব যুক্তিসংগত

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, প্রতিবন্ধী ভোটারদের ঘরে বসে ভোট দেওয়ার প্রস্তাবটি যুগান্তকারী ও যুক্তিসংগত। এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে সমাজের বড় একটি অংশ সহজে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে নারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপের সমাপনী বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে সংলাপে অন্য চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নারী প্রতিনিধিত্ব ও রাজনৈতিকদলের নিবন্ধন প্রসঙ্গে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি ২০৩০ সালের পর ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে তাদের আর সময়সীমা বাড়ানো হবে না। তিনি প্রস্তাব করেন যে, নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে না পারলে দলের পুনরায় নিবন্ধনের বিষয়টি নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনায় পাস করালে রাজনৈতিক দলগুলো এ ব্যাপারে আরও সচেতন হবে।

প্রবাসীদের ভোটাধিকার ও পর্যবেক্ষক সংস্থার ভূমিকার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রবাসী ভোটের সংখ্যা খুব বেশি না হলেও প্রক্রিয়াটি শুরু হবে, সেটিই জরুরি। এটি দেশের বাইরের নাগরিকদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্তির প্রথম ধাপ।

পর্যবেক্ষক সংস্থা নিয়ে তিনি বলেন, অনেক পর্যবেক্ষক সংস্থা যোগ্য হলেও তারা আগের নির্বাচনগুলোতে কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা রাখেনি, তাই তাদের এবার পর্যবেক্ষক হিসেবে রাখা যায়নি। ইসির সীমাবদ্ধতা গত তিনটি নির্বাচন থেকে উঠে এসেছে।

গুজব ও অপতথ্য (ডিসইনফরমেশন, মিসইনফরমেশন) মোকাবিলার কৌশল নিয়ে সানাউল্লাহ বলেন, গুজবের ক্ষেত্রে অর্ধেকের মতো সোর্স ট্রেস করা যায় না। অনেক সোর্স দেশের বাইরে, তাদের আইনের আওতায় আনা যায় না। তবে তথ্যের প্রবাহে লাগাম টানবে না ইসি। বরং, সঠিক ইনফরমেশন দিয়ে ডিসইনফরমেশন, মিসইনফরমেশনকে মোকাবিলা করা হবে।

আন্তর্জাতিক উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, রোমানিয়ার মতো দেশও অপতথ্য ঠেকাতে পারেনি, তাদের পুরো নির্বাচনে এর প্রভাব পড়েছিল। তিনি আরও স্বীকার করেন যে এআইয়ের বিরুদ্ধে কোনো কমিশনই এখন পর্যন্ত ‘আপ টু দ্য মার্ক’ হতে পারেনি। কিছু সীমাবদ্ধতা নিয়েই ইসিকে কাজ করতে হচ্ছে।

এমওএস/এমএএইচ/এমএস