জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে গণভোট এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একই দিনে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ইসির সঙ্গে এক সংলাপে অংশ নিয়ে এমন পরামর্শ দেন নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও ফেয়ার ইলেকশন মনিটরিং অ্যালায়েন্সের (ফেমা) সভাপতি মুনিরা খান।
যদিও জামায়াতে ইসলামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোটের পক্ষে মত দিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনের পক্ষে। দুটি ভোট একই দিনে না হলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত নির্বাচনী সংলাপে মুনিরা বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের আলোচনা হচ্ছে। গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে করতে পারেন। আলাদা করলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে। অনেকেই আলাদা চাইতে পারে। কিন্তু আপনারা চেষ্টা করেন একই সঙ্গে দুটি ভোট করতে।’
ফেমা সভাপতি জানান, নির্বাচন কমিশনকে ক্যারিশমা, স্বচ্ছতা ও কার্যক্রম দিয়ে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। এটি কমিশনের ওপর নির্ভর করছে। কারণ তারা দায়বদ্ধ।
আরও পড়ুনপ্রশাসনে বদল আনতে সরকারকে প্রস্তাব দেওয়ার পরামর্শ সাবেক কর্মীদেরসাবেকদের কাছে জালিয়াতির অভিজ্ঞতা শুনে গ্যাপস পূরণ করতে চান সিইসিসুন্দর নির্বাচন করতে চাই, এই ঢোলটা বাজিয়ে দেবেন
তবে এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল ও ভোটারদের সদিচ্ছা দরকার উল্লেখ করে মুনিরা বলেন, ‘সবার সদিচ্ছা ছাড়া নির্বাচন কমিশন কাজ করতে পারে না। যদি সরকার, রাজনৈতিক দলগুলো সাহায্য না করে তাহলে পারবেন না। আপনি যতই বলেন না কেন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন খুবই চেষ্টা করছে, তাহলেও আপনারা পারবেন না।’
এ নির্বাচন পর্যবেক্ষক বলেন, ‘এখনো নির্বাচনের সময়কাল আসেনি। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো ছবি-নামসহ বিলবোর্ড লাগিয়ে ফেলছে। ঢাকা শহরে অনেক বড় বড় কর্নার রয়েছে, আপনি নির্দিষ্ট করে দেন যে শুধু কর্নার ছাড়া কেউ বিলবোর্ড লাগাতে পারবে না। সব রাস্তা পোস্টার দিয়ে সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। পোস্টার লাগানো বন্ধ করে দেন। এটি আপনাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এর জন্য আপনাদের অনেক বড় পরিকল্পনা প্রয়োজন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বেশি বেশি বসলে নির্বাচন অনেক বেশি নিরপেক্ষ হবে।’
এমওএস/একিউএফ/জেআইএম