শিক্ষা

শিক্ষক নিয়োগে বঞ্চিতদের এনটিআরসিএ শাটডাউনের হুঁশিয়ারি

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েও ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ বঞ্চিত হয়েছেন ১৬ হাজার ২১৩ জন চাকরিপ্রার্থী। অথচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অসংখ্য পদ শূন্য রয়েছে। শূন্যপদে তাদের নিয়োগ দিতে ‘বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি’ প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন প্রার্থীরা।

দ্রুত তাদের এ দাবি মেনে না নেওয়া হলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ে শাটডাউন কর্মসূচি করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েও সুপারিশবঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা।

চাকরিপ্রার্থীদের দুই দফা দাবি

১. চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্যপদের তথ্য নিয়ে তা যুক্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সুপারিশ বঞ্চিত ১৬ হাজার ২১৩ জনকে নিয়োগ দিতে হবে।

২. নীতিমালা পরিবর্তনের আগে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ও সুপারিশবঞ্চিত প্রার্থীদের নিয়োগের লক্ষ্যে বিষয়ভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রয়োজন অনুযায়ী শূন্যপদ যুক্ত করে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সবাইকে নিয়োগ দিতে হবে।

এদিকে, সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে সদ্য সুপারিশকৃত পদে অনেক প্রার্থী বিভিন্ন কারণে যোগদান করেননি বা করবেন না। এতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান তীব্র শিক্ষক সংকট আরও তীব্রতর হবে। শিক্ষাব্যবস্থা হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়বে। তাই অযোগদানকৃত পদগুলোতে শূন্যপদ যুক্ত করে দ্রুত বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি সহজেই দেওয়া সম্ভব।

আরও পড়ুনবদলির দাবিতে কঠোর কর্মসূচিতে যাচ্ছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরাএমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া শতাংশ হারেই, রোববার যাচ্ছে প্রস্তাব

তারা আরও বলেন, এনটিআরসিএ এ পর্যন্ত ছয়টি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ করেছে, যেখানে কলেজ নিবন্ধন পরীক্ষায় ৪৫ নম্বর পেয়েও কলেজের প্রভাষক হিসেবে সুপারিশ পেয়েছেন। অথচ এবার ৫০-এর অধিক নম্বর পেয়েও এনটিআরসিএর বিবেচনায় অযোগ্য। প্রকৃত বিষয় হচ্ছে, এনটিআরসিএ কিছুসংখ্যক নিয়োগ দিয়ে বাকিদের বঞ্চিত করে রাখে।

‘তারপর নতুন নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর মাধ্যমে আবারও কোটি কোটি টাকার অর্থ লোভে হাজারও যোগ্য শিক্ষকের জীবনকে বলি দেয়। এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষের অত্যন্ত দুঃখজনক পদ্ধতি হচ্ছে, সর্বোচ্চ মেধাবীদের যাচাই-বাছাই করার পরেও একটি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রার্থীকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুপারিশ না করে নতুন নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করে দেয়।’

সংবাদ সম্মেলনে সুপারিশবঞ্চিত এক প্রার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা নিয়োগপ্রক্রিয়ার সব ধাপ পার করেছি কি শুধু একটা কাগজের সনদ পাওয়ার জন্য? গত নিয়োগ পরীক্ষার ভাইভা খুবই কঠিন হয়েছে। ফলে অনেকে দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছে। আমরা সেই ভাইভাও পার করেছি। কিন্তু আমরা এখনো বঞ্চিত। এটি চরম বৈষম্য। অবিলম্বে সনদধারীদের নিয়োগে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।

এএএইচ/ইএ/এএসএম