দেশজুড়ে

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ৭ কিলোমিটার যানজট

ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে ৭ কিলোমিটার সড়কজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। কাঁচপুর থেকে বরপা পর্যন্ত এ যানজট ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী, পরিবহন চালক ও শ্রমিকরা।

বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুর ১টা থেকে মহাসড়কে যানজট শুরু হয়, যা দুপুর গড়িয়ে বিকেল ৩টার দিকে যানজট বেড়ে ৭ কিলোমিটার সড়কজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

জানা গেছে, বৃষ্টির কারণে সড়কে তৈরি হওয়া খানাখন্দ দিয়ে যানবাহন পর্যাপ্ত গতিতে চলাচল করতে পারে না। এছাড়া মহাসড়কে গাড়ি বিকল হয়ে যাওয়া, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, নিয়ম ভঙ্গ করে রুটের গাড়ির একাধিক লাইন করাসহ বিভিন্ন কারণেই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। দুপুরের পর থেকে যানবাহনের লাইন বিস্তৃত হয়ে পড়ে। এ সময় মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে বরপা পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

এদিকে যানবাহনের দীর্ঘ সারিতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের। দূরপাল্লার যানবাহনের হাজারো মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। শতশত যাত্রীকে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।

এক ভুক্তভোগী যাত্রী আল-আমিন বলেন, এ মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে বরপা পর্যন্ত রাস্তায় যানজট যেন প্রতিদিনের ঘনটা। এ সড়ক ব্যবহারে প্রতিদিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্ট হচ্ছে। এসব দেখার কেউ নেই।

আরও পড়ুন:এক সড়কেই দিন পার, ক্ষতির মুখে ব্যবসা-বাণিজ্য

মেঘলা পরিবহনের চালক খাইরুল ইসলাম জানান, বরপা থেকে যানজটে আটকা পড়েছি। এক ঘণ্টা লেগেছে তারাবো বিশ্বরোড আসতে। অথচ এটুকু রাস্তা ৫ মিনিটে আসা যেত। প্রতিদিনের এই যানজট আমাদের আয় রোজগারে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাসযাত্রী আব্দুল করিম মিয়া বলেন, সিলেট থেকে আমার ঢাকায় আসতে সাধারণত পাঁচ-ছয় ঘণ্টা সময় লাগার কথা। কিন্তু আজ সকাল ৯টায় রওয়ানা হয়েছি, এখন ৪টা বাজে ৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো তারাবো বিশ্বরোড পার হতে পারিনি। কখন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবো কে জানে।

শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, বৃষ্টির কারণে সড়কে তৈরি হওয়া খানাখন্দ দিয়ে যানবাহন পর্যাপ্ত গতিতে চলাচল করতে পারে না। এছাড়া মহাসড়কে গাড়ি বিকল হয়ে যাওয়া, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামাসহ বিভিন্ন কারণেই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তবে আমাদের হাইওয়ে পুলিশ যানজট নিরসনে তৎপর।

নাজমুল হুদা/এনএইচআর/এমএস