আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের আফগান ঘাঁটি দখলচেষ্টার বিরুদ্ধে বিরল ঐক্য এশিয়ার

ট্রাম্পের আফগান ঘাঁটি দখলচেষ্টার বিরুদ্ধে বিরল ঐক্য দেখা গেলো এশীয় দেশগুলোর মধ্যে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাগরাম ঘাঁটি ফের দখলে নেওয়ার উদ্যোগের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে আফগানিস্তানের আঞ্চলিক প্রতিবেশীরা। এমনকি, এই বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ মত দিয়েছে ভারত-পাকিস্তানের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীরাও।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) মস্কো ফরম্যাট অব কনসালটেশন্স অন আফগানিস্তান-এর সদস্যরা এক যৌথ বিবৃতিতে ‘আফগানিস্তানকে স্বাধীন, ঐক্যবদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত’ করেছে। তারা আরও উল্লেখ করেছে, কোনো দেশ যদি আফগানিস্তান বা তার প্রতিবেশী দেশে সামরিক অবকাঠামো স্থাপন করতে চায়, তা গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ এটি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে অবদান রাখে না।

আরও পড়ুন>>বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত চাইলেন ট্রাম্প, আফগানিস্তানের স্পষ্ট ‘না’বাগরাম ঘাঁটি ফেরত দেবে না আফগানিস্তান, ‘খারাপ কিছু’ করার হুমকি ট্রাম্পেরআফগানিস্তানের বাগরাম ঘাঁটি ফিরে পেতে ট্রাম্প মরিয়া কেন?যেভাবে সোভিয়েত ঘাঁটি থেকে মার্কিন শক্তির কেন্দ্রবিন্দু ছিল বাগরাম

মস্কো ফরম্যাট অব কনসালটেশন্স অন আফগানিস্তান-এর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, চীন, রাশিয়া, ইরান এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ট্রাম্প বছর পাঁচেক আগে আফগানিস্তানের বাগরাম ঘাঁটি তালেবানের কাছে হস্তান্তর করেছিলেন, যা কাবুল থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পথ সুগম করেছিল। তবে সম্প্রতি তিনি ঘাঁটিটি আবারও যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এমনকি, বাগরাম ফেরত না পেলে ‘খারাপ কিছু ঘটবে’ বলে হুমকিও দিয়েছেন।

তবে তালেবান ট্রাম্পের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। বাগরাম ঘাঁটি চীনের সীমান্ত থেকে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

উল্লেখ্য যে, মঙ্গলবারের বিবৃতিতে ভারতও সমর্থন জানিয়েছে, যা ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লি সম্পর্কের অবনতির মধ্যে আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্ভাব্য সমঝোতার ইঙ্গিত বহন করে। আগামী ৯ অক্টোবর থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুততাকি প্রথমবারের মতো নয়াদিল্লি সফর করতে যাচ্ছেন।

মুততাকি মস্কো ফোরামের পর বলেছেন, আফগানিস্তান কোনো বিদেশি সামরিক উপস্থিতি মেনে নেবে না। তিনি বলেন, আফগানিস্তান একটি স্বাধীন দেশ, এবং ইতিহাস জুড়ে বিদেশিদের সামরিক উপস্থিতি কখনো গ্রহণ করা হয়নি। আমাদের নীতি ও সিদ্ধান্ত আফগানিস্তানকে স্বাধীন রাখার জন্য অটল থাকবে।

সূত্র: আল-জাজিরাকেএএ/