সাহিত্য

পূজায় গিয়ে ধন্য

ধন্য জন্মে আমি মুসলমান চিত্ত সুখে গাহি জয়গানদুর্গাপূজায় গিয়ে হই ধন্যএটা মস্ত খবর, নয় নগণ্য!

সতেরো বছর পারিনি যেতেপারিনি প্রাণ খুলে হাসতেএখন হাসি, মুখ খুলে বলিমনের মাঝে নেই চোরাবালি!

কেউ পাঠাচ্ছে শুভেচ্ছা বার্তা কেউ গিয়ে পাঠ করছে গীতাকেউ খাচ্ছে হাসিমুখে প্রসাদচোখে-মুখে যেন অমৃতের স্বাদ!

পূজায় অনুদান কেউ করছে গিয়েকেউ প্রণাম করছে মাথা নামিয়ে কেউ গলায় জড়াচ্ছে মালাহোক চেহারা সাদা বা কালা!

অর্জিত হয় কত অভিজ্ঞতা সৃষ্টিকর্তাকে জানায় কৃতজ্ঞতা হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাইতোমাদের সালাম জানাই!

মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ আমরাএকই দেহ-রক্ত-আত্মা-চামড়াতোমরা রাখো সন্তানের নামবিষ্ণু-কৃষ্ণ-রাধা-রানী-রাম!

আমরা ভাই-ভাতিজার রাখি নাম মুহাম্মদ-মূসা-ইছা-আইয়ূব-সাদ্দামহিন্দু-মুসলমান মিলে তাকাই যেদিকতাঁরা ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠার প্রতীক!

একদিকে রোজা, অন্যদিকে পূজাএকই মুদ্রার দুই সাইড সোজা বিষয়টি বোঝা অতি সহজ-সরলদুয়ের পার্থক্য শুধু ভাষার গরল!

তোমাদের উলুধ্বনি, আমাদের আজানযাতে লুকায়িত সৃষ্টিকর্তার জয়গান!কেউ বলে ‘ইসলাম’ ধর্মের নাম নয়সংসদে গিয়ে বলবো, যদি সুযোগ হয়!

হিন্দু-মুসলমানে পার্থক্য কইচেহারা-জামা-কাপড় একইকাটা চামড়া দুই হাতে চেপেপার্থক্য পাবে ইঞ্চি পরিমাপে!

পারস্পরিক বিভক্তি কেন আরদেশের তরে কাজ করি যে যারভুলে গিয়ে সব ধর্মীয় ব্যবধানশান্তি প্রতিষ্ঠায় রাখি অবদান!

হে মাবুদ পাঠিয়েছো করে মুসলমানভোটের আশায় না হই বেঈমানমনের কালিমা করে দাও সাফদাও হেদায়েত, করে পাপ মাফ!

এমএমএআর/এসইউ/এএসএম