নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে আরও একটি বড় পরীক্ষার সামনে বাংলাদেশ। আজ (সোমবার) বিশাখাপত্তনমে তাদের প্রতিপক্ষ দুর্দান্ত ছন্দে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায়।
এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচের পর থেকে সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে। উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৬৯ রানে গুটিয়ে গিয়ে বড় পরাজয়ের মুখ দেখেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
তবে এরপর তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে দুর্দান্তভাবে। নিউজিল্যান্ডকে হারানোর পর স্বাগতিক ভারতকে রোমাঞ্চকর এক রান তাড়ায় হারিয়ে আবারও শিরোপার দৌড়ে নিজেদের জায়গা পোক্ত করেছে লরা উলফার্ডদের দল।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ শুরু করেছিল জাঁকজমকপূর্ণভাবে। প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানকে হারিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিল নিগার সুলতানার দল। কিন্তু এরপর ধারাবাহিকতা রাখতে পারেনি তারা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করলেও শেষ পর্যন্ত হেরে যায়, আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ছিল সম্পূর্ণভাবে ছন্নছাড়া পারফরম্যান্স। ফলে তাদের বিশ্বকাপ মিশন এখন দোলাচলে।
দক্ষিণ আফ্রিকার পুনরুত্থানের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছেন ব্যাটারদের ব্যক্তিগত নৈপুণ্য। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাজমিন ব্রিটসের অসাধারণ ইনিংস ও ভারতের বিপক্ষে নাদিন ডি ক্লার্কের ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া পারফরম্যান্স দলকে এনে দিয়েছে আত্মবিশ্বাস। সেই সঙ্গে ক্লোয়ি ট্রায়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও অধিনায়ক লরা উলফার্ডের ফর্ম ফিরে পাওয়া বাংলাদেশের জন্য বড় দুশ্চিন্তার খবর।
শুধু ব্যাটিং নয়, বোলিংয়েও সাফল্যের গল্প লিখছেন দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা। বাঁহাতি স্পিনার ননকুলুলেকো ম্লাবা দারুণ বোলিংয়ে মধ্য ওভারে প্রতিপক্ষকে চাপে রেখেছেন নিয়মিতভাবে। তবে নেট রান রেট এখনো মাইনাস (-০.৮৮৮)। তাই পরবর্তী তিন ম্যাচে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রোটিয়াদের লক্ষ্য শুধু জয় নয়, বড় ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশের বোলাররা এখন পর্যন্ত প্রশংসনীয় পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। টুর্নামেন্টে দলগত গড় (২৩.২৬) অনুযায়ী তারা দ্বিতীয় সেরা বোলিং ইউনিট, ইংল্যান্ডের পরেই। কিন্তু ব্যাটিং বিভাগই বড় দুর্বলতা। এখন পর্যন্ত দুইজন ব্যাটার অর্ধশতক পেয়েছেন, তবে ধারাবাহিকতার অভাব দলের অগ্রযাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিততে হলে বাংলাদেশের টপ ও মিডলঅর্ডার ব্যাটারদের একসঙ্গে দায়িত্ব নিতে হবে। নইলে টুর্নামেন্টে টিকে থাকা আরও কঠিন হয়ে পড়বে নিগার বাহিনীর জন্য।
এমএমআর/এএসএম