বিনোদন

পুরোনো হলিউড ফিরিয়ে আনবে ‘কিস অব দ্য স্পাইডার ওম্যান’

বিখ্যাত পরিচালক বিল কনডন তার নতুন চলচ্চিত্র ‌‘কিস অব দ্য স্পাইডার ওম্যান’ তৈরি করেছেন। প্রযোজনার নকশায় অনুপ্রেরণা নিয়েছেন পুরোনো হলিউডের সোনালি যুগের এমজিএম সংগীতনির্ভর ছবিগুলো থেকে। বিশেষ করে কিংবদন্তি নির্মাতা ভিনসেন্ট মিনেলির চলচ্চিত্রগুলো ছিল তার অনুপ্রেরণার মূল উৎস।

এই সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে ম্যানুয়েল পুইগের ১৯৭৬ সালের উপন্যাস থেকে। সেটি থেকে প্রথম চলচ্চিত্র সংস্করণ তৈরি হয় ১৯৮৫ সালে হেক্টর বাবেনকোর হাতে। কনডনের নতুন সংস্করণটি আসলে টেরেন্স ম্যাকন্যালি, জন কান্ডার ও ফ্রেড এব রচিত মঞ্চসংগীতের ওপর ভিত্তি করে। এখানে দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন জেনিফার লোপেজ।

প্রযোজনা নকশাকার স্কট চ্যামব্লিস জানান, কনডনের নির্দেশ ছিল পুরোনো সেই চলচ্চিত্রগুলোর ভিজ্যুয়াল ধরন যতটা সম্ভব হুবহু পুনর্নির্মাণ করা। এজন্য তারা অ্যান আমেরিকান ইন প্যারিস, গিগি ও জিগফেল্ড ফোলিজের মতো সিনেমা থেকে ধারণা নেন।

ছবির কাহিনি এগিয়েছে ১৯৮৩ সালের আর্জেন্টিনায়, সামরিক শাসনের সময়ে। সমকামী এক দোকানকর্মী লুইস বন্দি হয় রাজনৈতিক বন্দি ভ্যালেন্টিনের সঙ্গে। কারাগারের ভেতর সে দেয়ালে তার প্রিয় নায়িকা ইনগ্রিডের পোস্টার ঝুলিয়ে স্বপ্ন দেখে প্রেমিকা অরোরাকে ঘিরে। ছবিতে নায়িকা ও প্রেমিকা এই দুই চরিত্রেই হাজির হবেন জেনিফার লোপেজ।

চ্যামব্লিস বলেন, ‌‘লুইসের কল্পনাজগতের সংগীত দৃশ্যগুলো তৈরি করতে আমরা সবসময় ভিনসেন্ট মিনেলির কাজের দিকেই ফিরেছি। এমনকি তার কম জনপ্রিয় ছবি ইওলান্দা অ্যান্ড দ্য থিফ থেকেও অনুপ্রেরণা নিয়েছি।’

কারাগারের নকশা নিয়েও ছিল বিশেষ ভাবনা। চ্যামব্লিস বলেন, ‘দুই বন্দির সম্পর্ক ও সেই অন্ধকার পরিবেশকে আমরা অপেরার মতো নাটকীয়ভাবে উপস্থাপন করেছি। এজন্য মন্টেভিডিওর একটি পুরোনো ধ্বংসপ্রাপ্ত কারাগার বেছে নিয়েছিলাম।’

অরোরার গুহার সেট নির্মাণেও ব্যবহার করা হয়েছে পুরোনো হলিউড স্টাইল। বিশেষ করে ১৯৫৩ সালের সোমব্রেরো ছবির দৃশ্য ছিল বড় অনুপ্রেরণা। সেখানে নায়িকা কৃত্রিম পাহাড়ের পটভূমিতে নাচেন।

চলচ্চিত্রটিতে আধুনিক ভিজ্যুয়াল প্রভাব ব্যবহার করা হয়নি বলেই জানান চ্যামব্লিস।

এলআইএ/জিকেএস