খেলাধুলা

নোমান আলির ঘূর্ণি জাদুতে চাপে দক্ষিণ আফ্রিকা

দুটি নিশ্চিত সেঞ্চুরি মিস করেছে পাকিস্তানের দুই ব্যাটার ইমাম-উল হক এবং সালমান আগা। দু’জনই আউট হয়েছেন সমান ৯৩ রান করে। এছাড়া শান মাসুদের ৭৬ এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৭৫ রানের ওপর ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তান সংগ্রহ করেছে ৩৭৮ রান।

লাহোর টেস্টের দ্বিতীয় দিন পাকিস্তানকে ৩৭৮ রানে বেধে ফেলার পর নিজেরা ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি স্পিনার নোমান আলির ঘূর্ণি তোপে পড়ে একের পর এক উইকেট হারাতে তাকে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটাররা।

প্রথমদিন যেভাবে পাকিস্তানের পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়েছিল, দ্বিতীয় দিনও ঠিক একইভাবে এগুলো লাহোর টেস্ট। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা ৫০ ওভার পর্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে টিকেছিল, এরপরই নোমান আলির দাপটে ধসে পড়ে তাদের ব্যাটিং। মাত্র ৬২ বলে ২৬ রানের মধ্যে ৪টি উইকেট হারিয়ে প্রোটিয়ারা পড়ে যায় চাপে।

দিনের শুরুটা অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ভালোই ছিল। সেনুরান মুথুসামির দারুণ বোলিংয়ে পাকিস্তান গুটিয়ে যায় ৩৭৮ রানে। মুথুসামি তুলে নেন ক্যারিয়ার সেরা ৬ উইকেট। এরপর ব্যাট হাতে নামেন আইডেন মার্করাম ও রায়ান রিকেলটন।

নতুন বলে পাকিস্তানের পেসারদের ভালোভাবেই সামলাচ্ছিলেন তারা, ১২তম ওভারেই পৌঁছে গিয়েছিল ৫০ রানের জুটিতে। কিন্তু তখনই নোমান আলির ঘূর্ণিতে ভাঙে প্রতিরোধ। মার্করাম প্রথমে রিভিউতে বেঁচে গেলেও, পরের বলেই আউট হন রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে।

এরপর রিকেলটন টনি ডি জর্জির সঙ্গে গড়ে তোলেন ৩৫ রানের জুটি। কিন্তু তিনিও ভুল শটে ধরা পড়েন, নোমানের টার্নে ব্যাটের বাইরের প্রান্ত ছুঁয়ে বল চলে যায় উইকেটকিপারের হাতে। এরপর ডি জর্জি ভাগ্য সহায়তায় শুরু করলেও ক্রমে আত্মবিশ্বাস ফিরে পান। অন্যপ্রান্তে রিকেলটন ধীরে ধীরে স্থিতি আনেন, নোমানের বলকে দারুণভাবে সামলান এবং সুযোগ পেলেই বাউন্ডারি খুঁজে নেন।

রিকেলটনের শেষ ইনিংসেই পাকিস্তানের বিপক্ষে এসেছিল ২৫৯ রান; এবারও তিনি দৃঢ়ভাবে দলকে টেনে নিচ্ছিলেন। কিন্তু সালমান আগার বলে ১০০ রানের আগে দুর্দান্ত এক ক্যাচে তাকে বিদায় করে দেন বাবর আজম।

তারপরই নোমান আলি শুরু করেন ধ্বংসযজ্ঞ। ট্রিস্টান স্টাবস ও ডেওয়াল্ড ব্রেভিসকে পরপর আউট করে দেন তিনি। প্রথমজনের ব্যাটে বাইরের প্রান্ত, দ্বিতীয়জন প্রথম বলেই শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ। পরে কাইল ভেরাইনি ভুল সুইপ খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে যান।

তবে টনি ডি জর্জি ছিলেন একাই দৃঢ়। অন্য প্রান্তে পতন দেখেও তিনি ঠান্ডা মাথায় খেলে যাচ্ছিলেন, ৮১ রানে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শেষ করেন।

আইএইচএস/