গত ২০ বছরে বাংলাদেশ রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশনে (রিহ্যাব) অভিযোগ জমা পড়েছে ১২শর বেশি। এর মধ্যে একসময়ের নামি প্রতিষ্ঠান ডোম-ইনোর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ১৪২টি প্রকল্পে। এসব প্রকল্পের মধ্যে ৫৬টিতে সব ফ্ল্যাট বিক্রি করা হলেও ক্রেতাদের কাছে এখনো হস্তান্তর করা হয়নি।
সম্প্রতি ডোম-ইনোর বিরুদ্ধে অন্তত ১৪টি অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়ায় এবং শুনানিতে অংশ না নেওয়ায় ডোম-ইনো প্রপার্টিজ লিমিটেড, ডোম-ইনো কনস্ট্রাকশন লিমিটেড এবং ডোম-ইনো বিল্ডার্স লিমিটেড—এই তিনটি প্রতিষ্ঠান রিহ্যাবের সদস্যপদ হারিয়েছে।
রিহ্যাবের তথ্য অনুযায়ী, ডোম-ইনোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবদুস সালাম অনুমোদিত তিন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে (ডোম-ইনো প্রপার্টিজ লিমিটেড, ডোম-ইনো কনস্ট্রাকশন লিমিটেড ও ডোম-ইনো বিল্ডার্স) আরও তিনটি অঘোষিত প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেছেন, যেগুলো রিহ্যাবের সদস্য নয় এবং সেখানে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।
আটকে আছে ক্রেতাদের ৩ হাজার কোটি টাকাডোম-ইনোর বিরুদ্ধে যে ১৪২টি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো জমা পড়েছে গত ১৫ বছরের মধ্যে। এর মধ্যে অন্তত ৫৬টি প্রকল্পে সব ফ্ল্যাট বিক্রি করা হলেও ক্রেতাদের হস্তান্তর করা হয়নি। এসব প্রকল্পে প্রায় দুই হাজার ফ্ল্যাট ছিল। ক্রেতাদের মোট বিনিয়োগ তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি। এছাড়া যৌথ উন্নয়ন চুক্তিতে জমি দেওয়া ব্যক্তিরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অনেকে এখন ভাড়া বাসায় থাকা সত্ত্বেও প্রতিশ্রুত ভাড়া বা ফ্ল্যাট পাচ্ছেন না।
ঢাকার নয়াপল্টন এলাকার ক্রেতা রাজকুমার রিহ্যাবে একটি অভিযোগ করেন। তিনি ‘ডোম-ইনো ইমপ্লিসিটো’ প্রকল্প থেকে ২০১৪ সালে দুটি ফ্ল্যাটের জন্য মোট ৭৩ লাখ টাকার বেশি পরিশোধ করেন। তবে দীর্ঘ সময় পার হওয়ার পরও তিনি ফ্ল্যাট বুঝে পাননি।
২০২৪ সালে করা অভিযোগে বলা হয়, বেইলি রোডের ভূমি মালিক রীমা হোসেন ও অন্যান্য পক্ষ ২০১২ সালে ৬ দশমিক ২৮ কাঠা জমি দিয়ে ডোম-ইনোর সঙ্গে চুক্তি করেন। ফ্ল্যাট হস্তান্তর ২০১৯ সালের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও কাজ শেষ হয়নি এবং প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে গেছে।
এমপির ভাই হিসেবে আবদুস সালাম ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। যদিও অনেকেই দাবি করেন তিনি দেশের বাইরে রয়েছেন। কিন্তু মামলার সময় তিনি কোর্টে হাজিরা দিয়েছেন এবং বর্তমানে জেলে আছেন।– ভুক্তভোগী সাব্বির
বসুন্ধরা এলাকার ক্রেতা রণজিৎ পাল ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাটের সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করেও ১৩ বছর ধরে ডোম-ইনোর কাছ থেকে ফ্ল্যাট বুঝে পাননি। আরামবাগ এলাকার ভূমি মালিক একেএম জাহাঙ্গীর খানের সঙ্গে ২০০৮ সালে চুক্তি সই হওয়া সত্ত্বেও প্রায় ১৮ বছরেও ভবন নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়নি। সম্প্রতি সামান্য কাজ করার পর প্রকল্পটি পরিচালনা করা কোম্পানিটি হঠাৎ করেই উধাও হয়ে গেছে।
আরও পড়ুনবাড়তি বাড়িভাড়ায় বছর শুরু, সাবলেট-মেসেও অস্বস্তিদুর্দিন কাটছে না আবাসন ব্যবসায়ীদের‘ফার’ ইস্যুতে আবাসন ব্যবসায় স্থবিরতাঅলস পড়ে আছে বহু বাণিজ্যিক স্পেস, খেলাপি ঋণ বাড়ার শঙ্কাআবাসন ব্যবসায় ধস, বেড়েছে পুরোনো ফ্ল্যাটের কদর
এমন অভিযোগের শেষ নেই কোম্পানিটির বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে ভূমি মালিকদেরও। তারাও ডোম-ইনোর সঙ্গে চুক্তি করে ক্ষতিগ্রস্ত।
দুদকে অভিযোগদুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্র জানায়, ‘ডোম-ইনো’ প্রকল্পের এমডি আবদুস সালাম ক্রেতাদের টাকা আত্মসাৎ করে তা বিদেশে পাচার করেছেন এবং সেই অর্থ ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন, যার মধ্যে লিওন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড অন্যতম। দুর্নীতির মামলায় একসময় তিনি কারাবন্দি থাকলেও পরে জামিনে মুক্তি পান। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে থাকলেও একটি মামলায় এখন কারাগারে।
ডোম-ইনো ও তার এমডির বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ২৫০টিরও বেশি মামলা হয়েছে। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে প্রতারণা, আত্মসাৎ, চেক প্রতারণা, জাল দলিল তৈরি এবং মানি লন্ডারিং।
দুদকের তদন্তে জানা যায়, আবাসন প্রকল্প থেকে সংগৃহীত অর্থ অন্য খাতে স্থানান্তর করা হয়েছে। ডোম-ইনোর মালিকানা অর্থে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান, যেমন অ্যাফিক্স বিডি নামে একটি কৃষি ও উৎপাদন কোম্পানি এবং লিওন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, যা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ওষুধ বিক্রি করে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো চললেও ফ্ল্যাটের ক্রেতারা তাদের বৈধ প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
এমডি আবদুস সালামক্রেতাদের দাবি, ডোম-ইনো কোম্পানিকে বিলুপ্ত করে তাদের পাওনা অর্থ দ্রুত ফেরত দিতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার শিকার হয়ে তারা এখন রাস্তায় বা আত্মীয়ের বাসায় থাকার মতো পরিস্থিতিতে পড়েছেন। তারা সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করছেন দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে।
ভুক্তভোগী সাব্বির হোসেন জাগো নিউজকে জানান, ২০১৩ সালে ফ্ল্যাট কেনার সময় তিনি মোট মূল্যের ৫০ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করেছিলেন। তবে ২০২৫ সালেও বিল্ডিংয়ের কাজের অগ্রগতি মাত্র ৫ শতাংশ। ফ্ল্যাট না পাওয়ায় ক্রেতারা বারবার মানববন্ধন, চিঠি ও বিভিন্ন অভিযোগ করেন। বর্তমানে হাইকোর্টে এ বিষয়ে একটি রিট মামলা চলছে।
কোনো ব্যক্তির প্রতারণার শিকার হলে তিনি চলমান মামলার রায়ের ওপর নির্ভর করে টাকা ফেরত পেতে পারেন। এছাড়া হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করতে পারেন, যাতে আদালত সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিতে পারে।- আইনজীবী আক্তারুজ্জামান ডালিম
সাব্বির বলেন, ‘এমপির ভাই হিসেবে আবদুস সালাম ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। যদিও অনেকেই দাবি করেন তিনি দেশের বাইরে রয়েছেন। কিন্তু মামলার সময় তিনি কোর্টে হাজিরা দিয়েছেন এবং বর্তমানে জেলে আছেন। এ বিষয়ে আমাদের কাছে ভিডিও প্রমাণও রয়েছে।’
প্রতারণার শিকার প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাব্বির হোসেন আরও জানান, তাদের প্রকল্প ছিল আরামবাগের ইম্পেরিকো প্রকল্প, যা ডোম-ইনো রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের নির্মাণ করার কথা ছিল। ২০১৩ সালে তিনি ডোম-ইনো রিয়েল এস্টেট লিমিটেড থেকে দুটি ফ্ল্যাট কেনেন—একটি নিজের জন্য এবং আরেকটি তার ভাইয়ের জন্য। কোম্পানির পক্ষ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ফ্ল্যাট হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও প্রায় এক দশক পেরিয়ে গেলেও ফ্ল্যাট এখনো পাওয়া যায়নি।
যা বলছেন আইনজীবীক্রেতাদের প্রতারণার বিষয়ে আইনজীবী আক্তারুজ্জামান ডালিম বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি প্রতারণার শিকার হলে তিনি চলমান মামলার রায়ের ওপর নির্ভর করে টাকা ফেরত পেতে পারেন। এছাড়া হাইকোর্টে রিট মামলা করতে পারেন, যাতে আদালত সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিতে পারেন। এমন অবস্থায় আদালত তদন্তের নির্দেশনা দিতে পারেন এবং প্রয়োজন হলে ডোম-ইনোর অর্ধসমাপ্ত প্রকল্পগুলো পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নিতে পারেন।’
মামলার পেছনের প্রেক্ষাপট নিয়ে কথা হয় আইনজীবী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম খানের সঙ্গে। ছয়জন প্রতারিত ফ্ল্যাট ক্রেতার পক্ষে তিনি লড়ছেন। তিনি বলেন, ‘এর আগে ডোম-ইনোর বিরুদ্ধে প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগে বিভিন্ন থানায় ও নিম্ন আদালতে শত শত মামলা হয়েছে। কিন্তু এবার প্রথমবারের মতো কোম্পানিটিকে বিলুপ্ত করে তার সম্পদ নিলামে তুলে ক্ষতিগ্রস্তদের পাওনা ফেরত দিতে হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছে।’
একাধিক আবাসন ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত ডোম-ইনো প্রপার্টিজ একসময় দেশের অন্যতম বৃহৎ আবাসন প্রতিষ্ঠান ছিল। বছরে প্রায় হাজার কোটি টাকা টার্নওভার করতো কোম্পানিটি এবং ২৫০টিরও বেশি প্রকল্প সম্পন্ন করেছিল। তবে ২০১০ সালের পর থেকে অনিয়ম, জালিয়াতি ও দুর্নীতির কারণে কোম্পানিটি ক্রমশ ধ্বংসের পথে চলে যায়। আজ ডোম-ইনো বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট খাতে সবচেয়ে বড় প্রতারণার প্রতীক হিসেবে পরিচিত।
রিহ্যাব সূত্র জানায়, আবদুস সালাম তার ভাই, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এবং কুমিল্লা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সবুরের প্রভাব ব্যবহার করে দীর্ঘ সময় ধরে এ ধরনের প্রতারণা চালিয়েছেন। ২০১০ সালের আগেই ডোম-ইনো একাধিক প্রকল্পে জমি ও নির্মাণাধীন ফ্ল্যাট ব্যাংকে বন্ধক রেখে ঋণ নেয়। এরপরও সেই ফ্ল্যাটগুলো পরবর্তীসময়ে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হয়, যার কারণে অনেক ক্রেতাই এখনো রেজিস্ট্রেশন পাননি। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে ব্যাংক ফ্ল্যাটগুলো নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ডোম-ইনোর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ১৪২টি প্রকল্পে। এসব প্রকল্পের মধ্যে ৫৬টিতে সব ফ্ল্যাট বিক্রি করা হলেও ক্রেতাদের কাছে এখনো হস্তান্তর করা হয়নি…
ডোম-ইনো নিয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) পরিচালক ড. হারুন রশিদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘ডোম-ইনো ক্রেতা ও জমির মালিকদের সঙ্গে যেসব অনিয়ম ও প্রতারণা করেছে, তা শুধু তাদের নিজের ক্ষতি করেনি, বরং দেশের পুরো আবাসন খাতের সুনাম সংকটে ফেলেছে।’
এ আবাসন ব্যবসায়ী আরও বলেন, ‘রিহ্যাবের পুরো বোর্ড এই অভিযোগগুলো নিয়ে বৈঠক করেছে। রিহ্যাবের রেগুলেটরি বোর্ড উভয় পক্ষ—ক্রেতা ও বিক্রেতাকে নিয়ে শুনানি পরিচালনা করে, যেখানে ডোম-ইনো অধিকাংশ সময় অনুপস্থিত ছিল। গুরুতর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ডোম-ইনোর তিনটি কোম্পানির সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। প্রতারণার শিকার অনেকেই মামলা করেন, যেগুলো রায়ের ওপর সব কিছু নির্ভর করছে। প্রয়োজন হলে আদালত তদন্ত ও অর্ধসমাপ্ত প্রকল্প পুনরুদ্ধারের নির্দেশও দিতে পারেন।’
ডোম-ইনো কর্তৃপক্ষের বক্তব্যডোম-ইনোর চেয়ারম্যান পলাতক। ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কারাগারে। ফলে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে প্রতিষ্ঠানটির কল সেন্টারের নম্বরে (0961...9999) যোগাযোগ করলে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ডেভেলপমেন্ট আপাতত বন্ধ। আমি আপনার নম্বরটি কর্তৃপক্ষের কাছে দিয়ে রাখছি, পরে যোগাযোগ করা হবে।’
কেন ডেভেলপমেন্ট বন্ধ রয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিষ্ঠানটির ডিজিটাল মার্কেটিং বিভাগের কর্মকর্তা রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘না না, আপাতত বন্ধ আছে, তবে আবার শুরু করার প্রসেসও চলছে। সরাসরি অফিসে এসে কথা বললে বেশি বেটার হয়।’
বনানীর এফ ব্লকের ৭ নম্বর রোডের ১৩ নম্বর হাউজে ডোম-ইনোর অফিসে সরেজমিনে গেলে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হলেও তারা কোনো মন্তব্য দিতে রাজি হননি। পরে একজন সম্ভাব্য ক্রেতা সেজে যোগাযোগ করা হলে তরিকুল ইসলাম নামে একজন ডেপুটি ম্যানেজার বলেন, ‘আপনার নম্বরটি রেখে দিচ্ছি, পরে যোগাযোগ করা হবে।’ এরপর তিনি আর কোনো কথা না বলেই সরে যান। অফিসের দ্বিতীয় তলায় আরও কয়েকজন কর্মকর্তা থাকলেও তারাও কথা বলতে রাজি হননি।
ইএআর/এএসএ/এমএফএ/এমএস