জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জনগণের মতামত জানতে আলোচনায় এখন ‘গণভোট’। বিএনপি চায় সংসদ নির্বাচনের ভোটের দিন পৃথক ব্যালটে গণভোট হোক। তবে জামায়াতসহ আরও কিছু দলের দাবি, সংসদ নির্বাচনের আগেই গণভোট করতে হবে।
এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো এখনো সমঝোতায় আসতে পারেনি। এমনকি খোদ নির্বাচন কমিশনেরও (ইসি) জানা নেই—কবে হবে এই গণভোট, কিংবা আদৌ হবে কি না। এখনো সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত বা বার্তাও পায়নি কমিশন।
গণভোট হওয়া নিয়ে ‘সংশয়’ প্রকাশ করে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে এখন পর্যন্ত কোনো কিছু উপস্থাপিত হয়নি। যেটা উপস্থাপিত হয়নি, সে বিষয়ে কথা বলার সুযোগই নেই।
এদিন আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ইসি সচিব। এর আগে গতকাল সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে জামায়াতের একটি প্রতিনিধিদল। ওই বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট করার দাবি জানিয়েছে দলটি।
গণভোট নিয়ে ইসির ‘ভাবনা’ জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, এটির ব্যাপারে আমার কোনো বাড়তি মন্তব্য দেওয়ার সুযোগ নেই। অনেকেই অনেক কথা বলেন, আপনারাও (সাংবাদিকরা) জানতে চান। যখন নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় তখন জানানো হয়। গণভোটের ব্যাপারেও একই কথা- যতক্ষণ না (সরকারের পক্ষ থেকে) ইসিকে কিছু বলা হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত এ বিষয়ে আমাদের কোনো কিছু বলার নেই।
আখতার আহমেদ বলেন, ইসি আসলে নির্বাচনটা ব্যবস্থাপনা করে, সিদ্ধান্তটা প্রাসঙ্গিকভাবে অন্য জায়গা থেকে আসে। গণভোট জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে আলাদা। বিষয় হচ্ছে সরকার যে সিদ্ধান্ত দেবে ইলেকশন কমিশন তা এক্সিকিউট করবে। গণভোটের ব্যাপারে সরকার সিদ্ধান্ত দেওয়ার আগে নিশ্চয়ই ইলেকশন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করবে। আমার বিশ্বাস এটি তখন সেভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, এ নিয়ে অনুমানের ওপর কথা বলাটা আমি মনে করি সমীচীন না।
ইসি সচিব আরও বলেন, একটা জিনিস বলি—গণভোট হবে কি হবে না, কখন হবে বা আদৌ হবে কি না—এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে এখন পর্যন্ত কোনো বিষয় উপস্থাপিত হয়নি। যেটা উপস্থাপিত হয়নি, সে বিষয়ে কথা বলার সুযোগই আমার নেই।
এমওএস/এমকেআর/জেআইএম