রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ভোট প্রদানের পর আঙুলের কালি মুছে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ে ড. মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ হলে ভোট দেওয়ার পর বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী এই অভিযোগ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের আব্দুল জাব্বার জাগো নিউজকে বলেন, ভোট দেওয়ার পর হাত দিয়ে ঘষা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কালি উঠে যাচ্ছে। কালি উঠে গেলে যে কেউ চাইলে আবার ঢুকতে পারবে। এতে জাল ভোটের শঙ্কা থাকে।
সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী জুবায়ের জাগো নিউজকে বলেন, ভোট দিয়ে আসার পর পরীক্ষামূলক পানি দিয়ে ধুয়ে দেখেছি। পরে দেখি কালি উঠে যাচ্ছে। এরকম হলে যে কেউ ভোট দিতে পারবে।
তবে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. সেতাউর রহমান বলেন, অমোচনীয় কালিগুলো দেশের বাহির থেকে আসে। এটাতো জাতীয় নির্বাচন না, তাই দেশের সবচেয়ে ভালো জায়গা থেকে কালীগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিটি কলমের দাম পড়েছে ৮৭০ টাকা।
তিনি আরও বলেন, কালি উঠে যাওয়ার ঘটনাকে এত বড় করে দেখার কিছু নেই। একজন ভোটার তার আইডি দেখিয়ে ছবিযুক্ত ভোটারের পাশে স্বাক্ষর করার পর ভোটের ব্যালট পাবে। সুতরাং দ্বিতীয়বার তার ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অমুচনীয় কালি শুধুমাত্র একটি সিম্বলিক বিষয়।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এর আগে থেকেই কেন্দ্রের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেন ভোটাররা। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর নির্বাচন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসব আমেজ বিরাজ করছে।
এসএইচ/আরএএস/এফএ/জেআইএম