ক্যাম্পাস

উৎসব আমেজে রাকসুতে চলছে ভোটগ্রহণ

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর চলছে রাকসু নির্বাচন। বৃহস্পতিবার (১৬ ) সকাল ৯টা থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোট প্রদান করছেন।

সরেজমিনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে শিক্ষার্থীরা ভোট দিচ্ছেন। সকাল ১০টা পর্যন্ত সুশৃঙ্খল পরিবেশেই চলছে ভোটগ্রহণ। বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরাও ভোট দিচ্ছেন নিরিবিলিভাবে।

ড. শহিদুল্লাহ একাডেমি ভবনে ভোট দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব। তিনি বলেন, সকাল সকাল ভোট দিয়েছি। কোনো অনিয়ম দেখিনি। কেন্দ্রের ভেতরের সবাই হেল্পফুল। আশা করি যোগ্য নেতৃত্ব আসবে।

আরেক শিক্ষার্থী আব্দুল আলিম জাগো নিউজকে হলেন, ৫ বন্ধু মিলে হল থেকে এসেছি। এখন যেভাবে সুষ্ঠু হচ্ছে, বিকেল পর্যন্ত যেন এভাবেই থাকে।

রাকসু নির্বাচনের আইন শৃঙ্খলা পরিষদের সদস্য কাউছার আলী জাগো নিউজকে বলেন, সকাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অনিয়ম পাইনি। কালি উঠে যাওয়ার বিষয়ে কমিশনকে জানিয়েছি। শিক্ষার্থীরা কালিতে অন্তত এক মিনিট যেন হাত না দেয়। তাহলে উঠবে না।

এই নির্বাচনে ফলাফলে আগামী এক বছরের জন্য গঠিত হতে যাচ্ছে ২৩ সদস্যের কেন্দ্রীয় সংসদ ও ১৫ সদস্যের ১৭টি হলের সংসদ। আর সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করা হবে পাঁচজনকে।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৭২ বছরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে মাত্র ১৬ বার। তার মধ্যে ১০ বারই হয়েছে পাকিস্তান আমলে।

এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০১ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫। আর পুরুষ ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন।

রাকসুতে মোট পদ ২৩টি, প্রার্থী ২৪৭ জন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট হল ১৭টি। প্রত্যেক হল ছাত্র সংসদে ১৫টি করে মোট ২৫৫টি পদের বিপরীতে নির্বাচন করছেন ৬০১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ছেলেদের ১১টি হলের ৪৬০ জন প্রার্থী এবং ৬টি নারী হলের প্রার্থী সংখ্যা ১৪১।

নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা কামাল আকন্দ জানান, নয়টি ভবনে ভোটগ্রহণ শেষে সব ব্যালট বাক্স নেওয়া হবে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে। ফল জানাতে আনুমানিক ১৭ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।

আরএএস/এফএ/জেআইএম