ক্যাম্পাস

রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা, মিশ্র প্রতিক্রিয়া

কঠোর নিরাপত্তা ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা ছাড়া আর কারো ক্যাম্পাসে ঢোকার অনুমতি নেই। তবে আবেদন সাপেক্ষে নির্বাচনী পরিবেশ দেখতে প্রতি প্যানেলের ৫ জনকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারছে বহিরাগতরা।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার সময় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন মার্কেটে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আমানুল্লাহ আমানকে বসে থাকতে দেখা যায়। এটা দেখে অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এর আগে গতকাল বিকেলেও আমানকে টুকিটাকি চত্বরে দেখা যায়। আমানুল্লাহ আমান ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক।

জিএস পদপ্রার্থী সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি নিজেও দেখেছি। প্রশ্ন হলো- প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার পরও একটা ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা কীভাবে ভোট চলাকালে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলেন সেটাই দেখার বিষয়। তিনি প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নাকি অন্যভাবে ঢুকেছেন আমরা জানি না। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এটি উদ্বেগজনক।’

এদিকে শিবিরের প্যানেলের এজিএস পদপ্রার্থী সালমান সাব্বির বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এখানে আছে। আজ ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ। তারপরও তিনি এখানে। পাশাপাশি ছাত্রদলের সভাপতি ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছে অস্ত্র পাওয়া গেছে। এগুলো ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে পারে। তাই আমরা চাইবো অন্তত ভোটগ্রহণের পর ভোট গণনার সময় যাতে ক্যাম্পাসে কোনো বহিরাগত না থাকে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন জানায়, নির্বাচনী পরিবেশ দেখার জন্য অনেকে আবেদন করেছে। আমরা সেই সাপেক্ষে পাঁচজনকে অনুমতি দিয়েছি। তারা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না, ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরি করতে পারবে। নির্বাচন কেমন হচ্ছে তা দেখবে। আমরা ছাত্রদল, শিবিরসহ যারা আবেদন করেছে সবাইকেই পাঁচজন করে আনার অনুমতি দিয়েছি।

এসএইচ/আরএএস/এফএ/এএসএম