চুয়াডাঙ্গায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার নামে ব্যবহৃত বিষাক্ত স্পিরিট পান করে ছয়জনের মৃত্যুর ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ব্যবহৃত ১১৭ বোতল বিষাক্ত স্পিরিট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন ঝিনাইদহের রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের মৃত পুটি মন্ডলের ছেলে ফারুক হোসেন ওরফে অ্যালকো ফারুক (৪০) এবং চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খেজুরা গ্রামের মৃত বাকী শেখের ছেলে জুমাত আলী (৪৬)।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে ঝিনাইদহে নিজ বাড়ি থেকে ফারুককে আর বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে খেজুরা গ্রাম এলাকা থেকে জুমাতকে গ্রেফতার করা হয়।
বিকেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) জামাল আল নাসের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে ছয়জনের মৃত্যুর ঘটনায় নিহত লাল্টু মিয়ার ভাই বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় স্পিরিট পানে ৬ জনের মৃত্যু
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতার ফারুক স্বীকার করেছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে লাইসেন্সবিহী ছাড়াই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় স্পিরিট ব্যবহার করে আসছিলেন। এ ঘটনায় বাকিদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় কয়েকজন মিলে স্পিরিট পান করেন। এরপর একে একে ছয়জন মারা যান। তবে ১২ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তারপর পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে এবং দুজনকে গ্রেফতার করে।
হুসাইন মালিক/এসআর/এমএস