ভারতের খ্যাতিমান কমেডিয়ান কপিল শর্মার কানাডার ক্যাফেতে আবারও গুলি চালানো হয়েছে। গত ৪ মাসে এই নিয়ে তিনবার গুলি করা হয়েছে তার ক্যাফেতে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) কপিলের ক্যাফেতে এই ঘটনা ঘটে।
গ্যাংস্টার গোল্ডি ঢিঁলো আর কুলদীপ সিধু এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে বলে জানা যাচ্ছে। এই দুই ব্যক্তিই লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে কপিল শর্মার ক্যাফেতে গুলি চলার ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে এই ২ জন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে কপিল শর্মার ক্যাফেতে গুলির ঘটনার। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একজন সশস্ত্র ব্যক্তি, কপিল শর্মার ক্যাফে লক্ষ্য করে গুলি করছে। জানা যাচ্ছে, কপিল শর্মার ক্যাফে লক্ষ্য করে অন্তত হাফ ডজন গুলি করা হয়। তবে এই ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট থেকে জানা যায়, লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ঘটনা সাধারণ মানুষকে ভয় পাওয়ানোর জন্যই তারা ঘটিয়েছে। যাতে সাধারণ মানুষ এই ক্যাফে থেকে দূরে থাকেন, সেই জন্যই তাদের এই প্রচেষ্টা।
পাশাপাশি যারা বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত, সেই সব মানুষদেরও সতর্কবার্তা দিয়েছে এ লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। বলা হয়েছে, যারা অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তারাও খুব তাড়াতাড়ি ফল পাবেন এই কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার। লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের ভাষায়, বুলেট কিন্তু যে কোনো দিক থেকেই আসতে পারে। এর আগে কপিল শর্মার ক্যাফেতে আগস্ট মাসের ৮ তারিখে হামলা হয়েছিল। সেই সময়ে অন্তত ২৫টা গুলি করা হয়েছিল কপিল শর্মার ক্যাফের ওপর।
এর আগে কিছুদিন একটি হুমকি ফোন পেয়েছিলেন কপিল শর্মা। তার কাছ থেকে ১ কোটি রুপি দাবি করা হয়েছিল। জানা যাচ্ছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর ও ২৩ সেপ্টেম্বর লাগাতার হুমকি ফোন আসতে থাকে কপিল শর্মার কাছে। গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রারের নাম করে ১ কোটি রুপি দাবি করা হয়। একই নম্বর নয়, একাধিক নম্বর থেকে একই দাবি করে ফোন আসতে থাকে। ঘটনার তদন্তে নেমে কলকাতা থেকে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের নাম, দিলীপ চৌধুরী। জানা যাচ্ছে, আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত সেই ব্যক্তি হেফাজতে থাকবে।
আরও পড়ুন:শাহরুখ খানকে খোঁচা দিলেন কঙ্গনা ‘আমাদের কেউ আলাদা করতে পারবে না’, ডিভোর্স প্রসঙ্গে গোবিন্দ
একটি সূত্র বলছে, ‘আইপিসি’র সেকশন অনুসারে ওই ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ সূত্র থেকে জানানো হচ্ছে, এই ব্যক্তি, দিলীপ চৌধুরীই সরাসরি কপিল শর্মাকে ফোন করেছিলেন। তিনি জানান, যদি ১ কোটি রুপি তাকে না দেওয়া হয়, তাহলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে কপিল শর্মার। বারে বারেই নম্বর বদলে কপিলকে ফোন করেছিল এই ব্যক্তি। তবে সে কেন এই পদক্ষেপ নিল, সেই বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।
এমএমএফ/জিকেএস