জর্ডানের রাজধানী আম্মানের একটি হোটেল থেকে তোয়ালে ও অন্যান্য জিনিসপত্র চুরির অভিযোগে এক কূটনীতিকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ইরাক। এ বিষয়ে তদন্তের জন্য ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা গেছে ওই কূটনীতিকের নাম জাইনাব অকলা আল-সাদি। চুরির ঘটনায় বর্তমানে তীব্র বিতর্কের মুখে পড়েছেন এ কূটনীতিক। ঘটনাটি শুধু সামাজিক মাধ্যমে নয় বরং ইরাক–জর্ডান কূটনৈতিক সম্পর্কে সবচেয়ে অদ্ভুত বিতর্ক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
জর্ডানের ফেয়ারমন্ট হোটেল অভিযোগ করেছে, জাইনাব আল-সাদি চেকআউটের সময় তোয়ালে, বাথরোব, কাপ, ঘড়ি ও অন্যান্য কিছু সামগ্রী নিয়ে যান। হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, তার চেক আউটের পর ছয়টি তোয়ালে ও দুটি বাথরোবসহ কয়েকটি জিনিস পাওয়া যায়নি ।
অন্যদিকে, আল-সাদি এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, আমার নিজের জিনিস হোটেল কর্মীরা চুরি করেছে এবং আমার গাড়ি আটকে রেখে আমাকে অপমান করার চেষ্টা করছে।
তিনি আল-হাদাস টিভিতে এক সাক্ষাৎকারে তোয়ালে হাতে নিয়ে বলেন, এই তোয়ালেগুলো আমার নিজের, হোটেলের নয়। আমি আল্লাহর নামে শপথ করছি।
জানা গেছে, ঘটনার পর ইরাকি দূতাবাস বিষয়টি নিয়ে বাগদাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। হোটেলের অ্যালার্ম সিস্টেম বেজে ওঠার পর কূটনীতিকের লাগেজ তল্লাশি করা হয় এবং তাতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ইরাকি দূতাবাস হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঘটনার সব দিক পর্যালোচনার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যাতে আইনি ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়া অনুসারে সত্য উদঘাটন করা যায়।
বিশ্বজুড়ে হোটেল থেকে তোয়ালে নেওয়া নতুন কিছু নয়। ট্রাভেল উইকলি এশিয়ার তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৮০ শতাংশ হোটেলই নিয়মিতভাবে তোয়ালে চুরির ঘটনা ঘটে।
সূত্র : দ্য জেরুজালেম পোস্ট/প্লাস ৯৬৪ মিডিয়াকেএমএন