চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় এক নারী কৃষি কর্মকর্তাকে ফোন করে গালাগালি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা এজাজ ইমতিয়াজ জোয়ারদ্দার বিপুলের বিরুদ্ধে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) এ ঘটনার একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।
ভুক্তভোগী নাম পাপিয়া খাতুন। তিনি উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন নাগদাহ ইউনিয়নের বিসিআইসি সার ডিলার আমিনুল ইসলামের গোডাউনে ১০ বস্তা সার নিতে জাহাপুর গ্রামের এক ব্যক্তিকে পাঠান চেয়ারম্যান বিপুল। তবে নির্ধারিত নিয়মে ওই পরিমাণ সার দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পাপিয়া খাতুন তাকে অন্যত্র যোগাযোগের পরামর্শ দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে চেয়ারম্যান ফোনে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ‘দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
ভুক্তভোগী পাপিয়া খাতুন বলেন, চেয়ারম্যান আমার সঙ্গে অত্যন্ত অশোভন আচরণ করেছেন। আমি এখন মানসিকভাবে ভীষণ চাপে আছি। বিষয়টি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান এজাজ ইমতিয়াজ জোয়ারদ্দার বিপুল সাংবাদিকদের বলেন, ওই নারী কর্মকর্তার আচরণ ভালো ছিল না। তাই কিছু কথা বলে ফেলেছি। এখন আফসোস হচ্ছে। আমি তাকে পরে সরিও বলেছি।
আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, চেয়ারম্যান বিপুল সরাসরি হুমকি দিয়েছেন। তার এমন আচরণে তিনজন কর্মকর্তা আগেও এলাকা ছেড়েছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্নও এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মেহেদী ইসলাম বলেন, আমি মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়েছি ও অডিও ক্লিপ শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হুসাইন মালিক/কেএইচকে/জেআইএম