৬৮ লাখ টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. মাসুদুর রহমান বিপ্লবের নামে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মামলাটি অনুমোদন দেওয়া হয় বলে সংস্থার উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম জানিয়েছেন।
আসামির বিরুদ্ধে দুদক আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। শিগগির দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করবেন।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, বিপ্লবের নামে স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে মোট এক কোটি ৫৩ লাখ ৪৫ হাজার ১৯৩ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে অনুসন্ধানে আয়কর নথিসহ অন্যান্য উৎস থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই করে তার পারিবারিক ব্যয় পাওয়া যায় ৭১ লাখ ৩৮ হাজার ৪৭৯ টাকা। ব্যয় ও ও অর্জিত সম্পদ বিবেচনায় নিলে মোট দুই কোটি ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ৬৭২ টাকার সম্পদ মেলে। যার বিপরীতে দুদক বৈধ উৎস পেয়েছে এক কোটি ৫৬ লাখ ৫৭ হাজার ৯১৩ টাকার। অর্থাৎ অনুসন্ধানে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া গেছে ৬৮ লাখ ২৫ হাজার ৭৫৯ টাকার।
আরও পড়ুনচসিকে নথি ঘষামাজা করে ৪০ কোটি টাকা কর ফাঁকি, দুদকের অভিযানসাবেক দুই উপাচার্যসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদকপ্রতারণার মামলায় আতিউর-বারকাতসহ ২৬ জনের নামে দুদকের চার্জশিট
অন্যদিকে, বিপ্লবের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এমআর এন্টারপ্রাইজের নামে এনআরবিসি ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখায় এবং প্রিমিয়ার ব্যাংকের মোহাম্মদপুর শাখায় তিনটি হিসাবের সন্ধান মিলেছে। যেখানে এনআরবিসি ব্যাংকে ৪১ লাখ ১৭ হাজার ৫৯১ টাকা, ব্র্যাক ব্যাংকে দুই কোটি ৩৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪০২ টাকা ও প্রিমিয়ার ব্যাংকে এক কোটি ৯৯ লাখ ১৭ হাজার ৪৪৯ টাকা জমা হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যার পুরোটাই ২০২৪ ও ২০২৫ সালের বিভিন্ন সময়ে উত্তোলন করে নেওয়ার প্রমাণ মিলেছে। লেনদেন হিসাব করলে তিন ব্যাংকে বিপ্লব প্রায় নয় কোটি ৫০ লাখ টাকা লেনদেন করেছেন। তিনি দায়িত্বপালনকালে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ অস্বাভাবিকভাবে লেনদেন করেন বলে মনে করছে দুদক।
এসএম/একিউএফ/জেআইএম