জাতীয়

পাঁচ ঘণ্টায় ৮০০ মামলার শুনানি কীভাবে সম্ভব, প্রশ্ন আইন উপদেষ্টার

এবার উচ্চ আদালতের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। উচ্চ আদালতের একটি বেঞ্চ একদিনে চার থেকে পাঁচ ঘন্টায় প্রায় ৮০০ মামলায় জামিন দিয়েছেন উল্লেখ করে এটা কীভাবে সম্ভব বলে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এসব বিষয়ে কথা বলেন। এর পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ বিষয়ে অনুসন্ধান করারও অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের একটি বেঞ্চ একদিনে চার থেকে পাঁচ ঘন্টায় প্রায় ৮০০ মামলায় জামিন দিয়েছেন। জামিন উনি দিতেই পারেন। কিন্তু ৪-৫ ঘন্টায় ৮০০ মামলা কি শোনা সম্ভব? এটা কি আসলে বিচারিক বিবেচনায় ছিল কি না- এরকম আরও কিছু কিছু প্রসঙ্গ উঠেছে। আমাদের মনে হয় বিষয়গুলো বিবেচনা করে আমরা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এ আইনটি (সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫) চূড়ান্ত করার পদক্ষেপ নিতে পারবো।

আরও পড়ুন

শ্রম আইন সংশোধন ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ চূড়ান্ত অনুমোদনআরপিও সংশোধন: ফেরারি আসামি ভোটে নয়

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে কিছু বিষয়ে উচ্চ আদালতের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয় বলে তিনি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে ড. আসিফ নজরুল জানান, উপদেষ্টা পরিষদের বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ-২০২৫ এর নীতিগত অনুমোদন হয়েছে।

তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ প্রণয়ন নিয়ে গত ২৫-৩০ বছর যাবৎ চেষ্টা চলছে। ২০০৬ সালের দিকে ভালোভাবে একটা চেষ্টা করা হয়েছিল। কোনোভাবেই করা যাচ্ছিল না।

তিনি জানান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন ও প্রধান বিচারপতির সংস্কার রোডম্যাপ আছে। সব জায়গাতেই সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। এই আইনটি নীতিগতভাবে অনুমোদন করা হয়েছে। এ আইনটি যখন চূড়ান্ত অনুমোদন হয়ে যাবে তখন অধস্তন আদালতের যারা বিচারক আছেন তাদের বদলি, পদায়ন, পদোন্নতি ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সব কিছু সুপ্রিম কোর্টের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব বাজেট ব্যবস্থাপনা থাকবে। তাদের সম্পত্তি, কী কী খাতে তারা উন্নয়ন করবে, পদ সৃজন করবে এসব ব্যাপারে আর্থিক স্বাধীনতা থাকবে।

উপদেষ্টা বলেন, এটি নিয়ে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে, তবে কিছু কিছু বিষয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে যেহেতু এটার সঙ্গে আর্থিক সংশ্লেষ রয়েছে, অবশ্যই অর্থ উপদেষ্টার একটা মতামতের প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া জনপ্রশাসনের সঙ্গে কনসালটেশনের প্রয়োজন রয়েছে।

এমইউ/এএমএ/জেআইএম