ভারতকে দেওয়া ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টসহ দেশটির সঙ্গে এ বিষয়ে কী কী চুক্তি করা হয়েছে তার তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভারতকে দেওয়া যেসব সুবিধা বাতিল করার মতো, সেগুলো বাতিল করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আজিজুল হক। রিটে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, এনবিআরের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
রিটের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী মোহাম্মদ আজিজুল হক সাংবাদিকদের জানান, এর আগে গত ১৭ এপ্রিল সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। ওই লিগ্যাল নোটিশের পর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আজ রিট আবেদন করা হয়েছে। হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে রিটটির বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুনবাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করলো ভারতভারতের সঙ্গে রেল ট্রানজিট সমঝোতা চুক্তি বাতিল চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
এর আগে ভারতকে দেওয়া ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টসহ সব সুবিধা বাতিল চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। লিগ্যাল নোটিশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। গত ১৭ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আজিজুল হক এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
সেসময় মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার পর সরকার যদি ভারতকে দেওয়া ট্রানজিট, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা, বৈষম্যমূলক চুক্তি বাতিলে পদক্ষেপ না নেয় তাহলে প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ভারত এরই মধ্যে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে। এখন বাংলাদেশের জনগণও চায় ভারতকে দেওয়া সব সুবিধা বাতিল হোক।
এফএইচ/কেএসআর/জেআইএম