জাতীয়

বিএসসি-ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের দ্বন্দ্ব আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে

বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের মধ্যে চলমান পেশাগত দ্বন্দ্ব যৌক্তিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. এহছানুল হক।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) ৪৪তম জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এহছানুল হক বলেন, ‘বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ম গ্রেডভুক্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলীর পদ উন্মুক্তের দাবি মেধার প্রতি অবিচার, যা আমাকে ব্যথিত করেছে। ডিগ্রি ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের মধ্যে পেশাগত চলমান দ্বন্দ্ব যৌক্তিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে।’

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাব্যবস্থায় উত্থাপিত সমস্যা সম্পর্কে বলতে গিয়ে জনপ্রশাসন সচিব জানান, এ ব্যাপারে জাতীয় বেতন কমিশন কাজ করছে। বিষয়গুলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষে বেতন কমিশনকে জানানো হবে।

পেশাগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি জাতীয় স্বার্থকেও প্রাধান্য দিতে হবে জানিয়ে এহছানুল হক বলেন, প্রকৌশল কর্মক্ষেত্রে নিম্নমানের কর্মযজ্ঞের যে বদনাম রয়েছে, সেটি দূর করতে মাঠপর্যায়ের প্রকৌশলী হিসেবে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।

আরও পড়ুনবিএসসি-ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের রেষারেষির নেপথ্যে ‘চাকরি সংকট’অধিকার সংরক্ষণসহ ৭ দাবি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের

সচিব বলেন, বৈষম্যহীন সমৃদ্ধ জাতিরাষ্ট্র গঠনে জাতীয় যে অঙ্গীকার রয়েছে, সেটি বাস্তবায়নের জন্য গবেষণা ও উদ্ভাবনে মনোযোগ বাড়ানোর বিকল্প নেই। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কাঙ্ক্ষিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রকৌশলীদের অবশ্যই এগিয়ে আসতে হবে। মেধাবীদের পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় যোগ দেওয়া কিংবা নিম্নপদের দাবি জানানো জাতির জন্য দুর্ভাগ্য। এটি জাতীয় মেধার অপচয়। তাদের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে গবেষণার ক্ষেত্র সৃষ্টি করার জন্য সরকার কাজ করছে।

আইডিইবির অন্তর্বর্তী কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মো. কবীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সদস্যসচিব কাজী সাখাওয়াত হোসেন। সম্মেলনে ৭১টি সাংগঠনিক জেলা শাখা থেকে নেতারা অংশ নিচ্ছেন।

এমএমএ/একিউএফ/এমএস