খেলাধুলা

ব্রুকের একক লড়াই ম্লান করে নিউজিল্যান্ডের জয়

ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক এককভাবেই লড়াই করলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড সংগ্রহ করেছিল ২২৩ রান। এর মধ্যে একাই ১৩৫ রান করেছেন হ্যারি ব্রুক। একক এই লড়াইয়েও জিততে পারলেন না হ্যারি ব্রুক। মাউন্ট মগানুইয়ের বে ওভালে নিউজিল্যান্ডের কাছে ব্রুকের দল ইংল্যান্ড চার উইকেটে হেরে গেলো নিউজিল্যান্ডের কাছে। হাতে ছিল ৮০ বল।

আশেজের আগমুহূর্তে প্রস্তুতি সিরিজের প্রথম ম্যাচেই যেন ধসে পড়ল ইংল্যান্ডের ব্যাটিং। শুরুর পাঁচজন ব্যাটার ফিরলেন মাত্র ৩৩ রানে। জেমি স্মিথ, বেন ডাকেট, জো রুট, জ্যাকব বেথেল— সবাই ফককসের দুর্ধর্ষ স্পেলে একে একে বিদায় নেন। ফকস তার অভিষেক ওয়ানডেতেই মাত্র ৪১ রানে তুলে নেন ৪ উইকেট, ইংল্যান্ডকে ঠেলে দেন বিপর্যয়ের মুখে।

জস বাটলারও টিকতে পারেননি, স্কোর তখন ৫ উইকেটে ৩৩। এরপর স্যাম কারান আউট হন ৫৬ রানে, ইংল্যান্ড তখন কার্যত ধ্বংসস্তুপ।

যখন দলের পতন অনিবার্য, তখনই দাঁড়িয়ে গেলেন হ্যারি ব্রুক। একক নৈপুণ্যে ইনিংসকে বাঁচিয়ে তোলেন, নিয়ে যান ২২৩ রানে। তার ১৩৫ রান এসেছে মাত্র ১০১ বলে, ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও ১১টি ছক্কার মার। প্রথম ৩৬ রানই আসে বাউন্ডারি থেকে, শতক পূর্ণ করেন ৮২ বলে, টানা তিনটি ছক্কায় ডাফিকে উড়িয়ে।

ব্রুকের ইনিংসই ইংল্যান্ডকে লড়াইয়ে ধরে রাখে, কারণ তার বাইরে একমাত্র জেমি ওভারটই (৪৬) দুই অঙ্ক ছোঁন। সপ্তম উইকেটে দুজন মিলে ৮৭ রানের জুটি গড়ে খানিকটা লড়াইয়ের আশা জাগান।

নিউজিল্যান্ডের পেসার জ্যাক ফকস ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার ধ্বংস করে দেন অনবদ্য সুইং ও নিখুঁত লাইন-লেংথে। তার সঙ্গী ম্যাট হেনরি ও জ্যাকব ডাফিও ধারাবাহিক আক্রমণ চালিয়ে যান।

তবে ওভারটন আগেও এমন পরিস্থিতিতে দলকে টেনে তুলেছিলেন— ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে ৬ উইকেটে ৫৫ রান থেকে করেছিলেন ক্যারিয়ারসেরা ৯৭ রান। এবারও লড়লেন, কিন্তু মাইলফলক ছোঁয়া হলো না।

জবাব দিতে নামা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের বোলার ব্রাইডন কার্স শুরুতে দুর্দান্ত বোলিং করে ফেরান উইল ইয়ং ও কেন উইলিয়ামসনকে। লুক উডও ফেরান রাচিন রাবিন্দ্রাকে। এক পর্যায়ে নিউজিল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৬৬, তখনও ম্যাচে ফিরতে পারত ইংল্যান্ড।

কিন্তু সেখানেই দৃঢ় ব্যাটে ভর করে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন ড্যারিল মিচেল (৭৮)* ও মাইকেল ব্রেসওয়েল (৫১)। দুজনের ৯২ রানের জুটি নিউজিল্যান্ডকে জয়ের রাস্তা দেখায়।

শেষদিকে ব্রেসওয়েল রানআউট হলেও মিচেল ছিলেন অবিচল। অধিনায়ক স্যান্টনার (২৭) কয়েকটি বড় শট খেলেন এবং মিচেলের ছক্কাতেই নিউজিল্যান্ড জয় নিশ্চিত করে।

যদিও দল হেরেছে, তবে হ্যারি ব্রুকের ১৩৫ রানের ইনিংস ছিল অসাধারণ, যা ইতিহাসে স্থান করে নেবে। তবে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া বোলিংয়ের জন্য জ্যাক ফকসকেও কৃতিত্ব দিতে হবে, যিনি একাই ইংল্যান্ডকে ধ্বংস ডেকে আনেন।

আইএইচএস/