দেশজুড়ে

বিএনপি নেতা সাখাওয়াতকে জামিন, বাদীকে আদালতে প্রবেশে বাধার অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জের আদালতে শিশু সন্তানদের সামনে বাবা ও মাকে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানসহ ছয় আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ-আল-মাসুমের আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন চাইলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন হিরন (৩৮), খোরশেদ আলম (৪০), রাসেল ব্যাপারি (৩৫), আলামিন (৩৯) ও বিল্লাল হোসেন (৩৮)।

তবে মামলার বাদী রাজিয়া সুলতানা অভিযোগ করে বলেন, ‘সাখাওয়াতের হোসেন লোক দিয়ে আমাকে আটকিয়ে রেখেছে। আমাকে আদালতে কথা বলতে দেয়নি। আমার পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়ায়নি। সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে কোনো আইনজীবীকে দাঁড়াতে দেবে না। কেউ দাঁড়ালে তার সনদ বাতিল করে দেবে বলে হুমকি দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ওপর হামলা করতে চেয়েছিল। যে কোনো সময় আমার ওপর হামলা করতে পারে। আমি নিরাপত্তা শঙ্কায় আছি। আমি লিগ্যাল এইডে সহায়তা চেয়েছি। সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে লিগ্যাল এইড সহায়তা করতে চায়নি। বলছে পরে যোগাযোগ করার জন্য।’

আরও পড়ুনআদালতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মারধর-শ্লীলতাহানির অভিযোগবিএনপি নেতার নাম থাকায় মামলা না দেওয়ার অভিযোগ

তবে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, ‘মামলার বাদীকে বাধা দেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। যদি বাদী অভিযোগ করে থাকেন তাহলে তিনি মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।’

জামিন শেষে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি কিছুই জানি না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। সামনে নির্বাচন। তাই আমার রাজনৈতিক পতিপক্ষ আমার ক্লিন ইমেজ নষ্ট করার জন্য এই মামলা দিয়েছে।’

এর আগে রোববার (২৬ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে মামলার শুনানিতে যাওয়ার সময় রাজিয়া সুলতানা নামের এক নারী, তার স্বামী ও সন্তানদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় রাজিয়া সুলতানা (৩৮), তার স্বামী ইরফান মিয়া, (৫০) এবং দুই পুত্র জিদান (১৮) ও আব্দুল্লাহ (৫) আহত হন।

এ ঘটনার দুদিন পর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে করা অভিযোগটি মামলা আকারে নেয় পুলিশ।

মোবাশ্বির শ্রাবণ/এসআর/জিকেএস