দেশজুড়ে

মাগুরায় আমনের বাম্পার ফলন, ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা

মাগুরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে এখন মাড়াই কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে অধিক বৃষ্টিপাত হওয়ায় আবাদি, অনাবাদি জমিতে আমনের ফলন কয়েক গুণ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

মাগুরা সদর উপজেলার কৃষক আরজ আলী বলেন, এবার ২০ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করেছি। প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় ফলনও ভালো হয়েছে। বাজারে ন্যায্যমূল্য পেলে ধানের ভর্তুকি দিতে হবে না।

মাগুরা সদরের ভিটাশাইর গ্রামের কৃষক ধলা শেখ বলেন, এবছর আট বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষ করেছি। জমির ধান ভালো হয়েছে। পোকামাকড়ের আক্রমণ ও রোগবালাই কম হওয়ায় অন্য বছরের তুলনায় এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। তবে এরইমধ্যে বৃষ্টি এবং বাতাসে অনেক গুলো জামির ধান পড়ে গিয়েছে তাতে কিছুটা চিন্তিত আছি।

জানা গেছে, মাগুরা জেলায় ধান কাটার কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিন রয়েছে ২৬টি, রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ৪টি রিপার ৩৩টি। ধান কাটার কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিন যা কিনা একটি মেশিন প্রতি ঘণ্টায় এক একর জমির ধান কাটাতে সক্ষম।

প্রন্তিক পর্যায়ের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চার থেকে পাঁচ হাজার টাকায় ভাড়া করে মেশিন নিলে এক একর জমির ধান কাটা যায় এই মেশিনে। তাতে করে ধান উৎপাদনে খরচ এবং সময় কিছুটা লাঘব হয়।

শ্রীপুর উপজেলার নাকোল গ্রামের কৃষক তালেব মিয়া বলেন, এবার আবহাওয়া, সারের প্রাপ্যতা সবই অনুকূলে ছিল। এছাড়াও গত কয়েক বছর অব্যাহত লোকসানের কারণে অনেক কৃষকই এবার আমন রোপণ করেনি। এসব কারণেই হয়তো কৃষক এবার ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. তোজাম্মেল হক জানান, জেলায় চলতি মৌসুমে রোপা আমন আবাদী জমির পরিমাণ ১১ হাজার ৯৫৫ হেক্টর, সম্ভাব্য উৎপাদন ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজার ২৩৪ টন। গড় উৎপাদন ৩ দশমিক ৭০ টন প্রতি হেক্টরে হবে বলে আশা করছি। এর মধ্যে ১০ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ধানের আবাদ হয়েছে। এই মুহূর্তে মাঠের সার্বিক অবস্থা ভালো।

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন উপপরিচালক মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া এবার অনুকূল ছিল। এছাড়া সারের সরবরাহও ভালো ছিল। সব মিলে এবার উৎপাদন ভালো হয়েছে। কৃষক মূল্যও পাচ্ছে ভালো। সব মিলে কৃষকের মুখে হাসি দেখা যাচ্ছে এটাই বড় কথা।

মো. মিনারুল ইসলাম জুয়েল/এনএইচআর/এএসএম