আগামী ১১ নভেম্বর সিলেটে শুরু বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ। সে উপলক্ষে ৭ নভেম্বর, শুক্রবার থেকে সিলেটেই চলবে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অনুশীলন। প্রথম টেস্টের আগে তিনদিন মাত্র অনুশীলনের সুযোগ পাবে টিম বাংলাদেশ।
এ স্বল্প সময়ে কী করবেন নতুন ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল? দায়িত্বপ্রাপ্তির রাতেই জাগো নিউজের সাথে একান্ত আলাপে জানিয়ে রেখেছেন, এখনই টেকনিক ও স্কিল নিয়ে কাজ করার কোনো ইচ্ছে নেই তার। আজ বৃহস্পতিবার সিলেট যাওয়ার আগেও মুখে প্রায় একই কথা বাংলাদেশের নতুন ব্যাটিং কোচের।
একটি মাত্র সিরিজের জন্য দায়িত্ব পাওয়া। ব্যাপারটা কিভাবে দেখছেন? আশরাফুল তা নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না। তার অনুভব, দেশের হয়ে কাজ করতে পারাটাই বড়। কতদিনের জন্য, সেটা ধর্তব্য নয়।
তাই মুখে একথা, ‘দেশের হয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এক ম্যাচের জন্য কাজ করতে পারাটাই তো বড় বিষয়, আমাকে পুরো একটা সিরিজ দিয়েছে। আমি চেষ্টা করব যখন যে কাজ করব, যেন সেরাটা দিতে পারি। লম্বা সময় করব, এসব নিয়ে আমি চিন্তিত না।’
বাংলাদেশ জাতীয় দলে কাজ করা মানেই বাড়তি চাপ। ভাল পারফরমেন্স ও ইতিবাচক ফল হয় কম। তাই মানসিক চাপে থাকার সম্ভাবনাই বেশি। তা নিয়ে কোন চিন্তা আছে কি না? জানতে চাইলে আশরাফুলের জবাব, ফল নির্ভর কাজ করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে চাপ সহ্য করতে হবে। যেহেতু আমি ১৩ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছি, এই চাপ অনেক সহ্য করেছি। আমার জীবনে যে ঘটনা ঘটেছিল, সেই চাপ থেকেও ফিরে এসেছি। এ বিষয় নিয়ে আমি এত চিন্তিত নই। যেখানেই যাই, সৎভাবে কাজ করি, শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি।’
এখন জাতীয় দলের ব্যাটারদের কী শেখাতে চান? আশরাফুলের উত্তর, ‘আমার জীবনে অনেক ভালো ইনিংস আছে, খারাপও আছে। এই জিনিসগুলো আমি শেয়ার করতে চাই। এ কারণেই কোচিংয়ে আসতে চেয়েছি।’
ব্যাটারদের তিনি ধারাবাহিকভাবে রান করা শেখাতে চান। সেই কাজে তার নিজের খেলোয়াড়ী অভিজ্ঞতা শেয়ার করার কথাই ভাবছেন টাইগারদের নতুন ব্যাটিং কোচ। তার অনুভব, টেস্ট দলটা মোটামুটি অভিজ্ঞ এবং সবাই যদি যার যার সেরাটা উপহার দিতে পারে, তাহলে কোনো সমস্যা হবে না।
‘আমাদের দলটা অভিজ্ঞ এবং পারফরমার সবাই দলে আছে। মুশফিক এরই মধ্যে ৯৮ টেস্ট খেলেছে, মুমিনুল ৭০-এর অধিক টেস্ট খেলেছে, শান্ত-লিটন-মিরাজও ১০-১২ বছর ধরে খেলছে। আমি মনে করি ওরা খুব অভিজ্ঞ এবং তারা যদি তাদের সেরাটা খেলে তাহলে অতটা সমস্যা হবে না আশা করি।’
আশরাফুলের অনুভব, কোচের প্রেসারটা কম। ‘আমি মনে করি কোচের প্রেসারটা কম। কোচের কোনো প্রেসার থাকে না। সব প্রেসার কিন্তু খেলোয়াড়দের থাকে যে, তারা কিভাবে পারফর্ম করবে ওই জায়গায়। ওই খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স বের করাটা হলো কোচের একটা বড় কাজ। আমি সেটাই চেষ্টা করব, যেন তারা তাদের সেরাটা দিতে পারে।’
সাংবাদিকদের কাছে আশরাফুলের চাওয়া, কম সমালোচনা। ‘আমার একটাই আশা থাকবে, আপনারা অবশ্যই সমালোচনা করবেন; কিন্তু একটু রয়েসয়ে করলে আমার মনে হয় ভালো হয়। কারণ সবাই সেরাটা দিতে চায়। সেই জায়গায় সমালোচনা হবে, আমি এটা জানি। আপনি ভালো কাজ করলে আপনাকে আকাশে উঠাবে, খারাপ করলে নিচে নামাবে। ওইটা নিয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে আমি শুধু আমার কাজটা করার চেষ্টা করব।’
এআরবি/আইএইচএস