রাজনীতি

বিএনপি সব ধর্মের মানুষের সম-অধিকারের দল: গয়েশ্বর

বিএনপি সব ধর্মের মানুষের সম-অধিকারের দল বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। শনিবার (৮ নভেম্বর) মতুয়া সম্প্রদায়ের হিন্দু প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্যজোট’র উদ্যোগে এ সম্মেলন হয়। এতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘মুসলমানদের দল তো বিএনপি না। এটা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, সব ধর্মের সম-অধিকার নিয়ে দল। নো সংখ্যালঘু, নো সংখ্যাগুরু, সংবিধান অনুযায়ী সব নাগরিকের সমান অধিকার। সেটাকে ভিত্তি ধরে আমরা আত্মীয়তা করতে চাই। কিন্তু আত্মীয়তা বেশিদিন টিকে থাকে না। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কমপক্ষে ১০টা হিন্দু সমাবেশ করেছেন। আমি নিজে ছিলাম, ওনার সাথে ঘুরেছি, দেখছি। ভালো আগ্রহ দেখেছি কিন্তু কেন জানি কিছুক্ষণ পর আগ্রহ কমে যায়। সেটা কী আমাদের দোষ না আপনাদের অনাগ্রহ, কেন হয় সেটা আমরা বুঝতে পারি না।’

হিন্দু ধর্মের বর্ণপ্রথার কথা উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘এই যে জাত মানে উত্তম, মধ্যম, অধম- আই হেইট ইট। মানুষ জন্মের জন্য দায়ী না, মানুষ কর্মের জন্য দায়ী। ভগবানের সৃষ্টি কোনো মানুষ ছোট না, বড়ও না, মধ্যমও না। যাদের আপনারা নিকৃষ্ট মনে করেন তারা ভগবানের মূল আদর্শটা জানেন না।’

অনুষ্ঠানে তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে হরি গুরুচাঁদ মতুয়া মিশনের সভাপতি সূবর্ণা রানী ঠাকুর বলেন, ‘আমি আশা রাখি পরম করুণাময়ের কাছে, তিনি অতি শিগগিরই আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন এবং আমাদের এই সনতানী সম্প্রদায়ের সমস্ত দাবি-দাওয়া পূরণ করবেন।’

এসময় মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্যজোটের সদস্যসচিব কোপিল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায় কারও ব্যক্তিগত ভোট বাক্স নয়। হিন্দু সম্প্রদায় যেকেনো দিকে মুভ করতে পারে। হিন্দু মানে আওয়ামী লীগ নয়। কয়েকজন চাটুকার মন্ত্রী-এমপি হয়েছে। কিন্তু ওরা হিন্দু সম্প্রদায়ের কোনো কাজে আসেনি।’

কোপিল কৃষ্ণ ১৯৯০ সাল থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হওয়া নিপীড়ন-নির্যাতনের ঘটনায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার, আওয়ামী লীগ নেতাদের দখলে থাকা হিন্দুদের অর্পিত ও দেবোত্তর সম্পত্তি ফেরত, হিন্দু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন এবং শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকীর দিনে সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি তুলে ধরেন।

মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্যজোটের আহ্বায়ক সোমনাত দে‘র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সভাপতি বিজন কান্তি সরকার, হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ্র চন্দ্র প্রামাণিক প্রমুখ।

কেএইচ/একিউএফ/জেআইএম