কুমিল্লার তিতাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর কামাল হোসেনের ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে জেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) সকাল থেকে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দুপুরে ইউএনওর নজরে আসে। এরপর ওই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ২৪ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, কামাল হোসেন অফিসের চেয়ারে বসে আছেন। বিপরীতে থাকা এক ব্যক্তি তার হাতে ঘুষের টাকা তুলে দেন। কামাল হোসেন টাকাগুলো গুনে অবাক দৃষ্টিতে তাকান সেই ব্যক্তির দিকে। এরপর তাকে বলতে শোনা যায়, ‘এইডা কী দেন বুঝলাম না কিছু, না দিলে মানা করেন, বলেন দিতাম না।’
এসময় বিপরীতে থাকা ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘রাহেন ভাই রাহেন।’ তখন কামাল হোসেন বলেন, ‘এইতান দিয়া ফর্তা মতোন অয় না।’ সেই ব্যক্তি তখন বলেন, ‘এসিল্যান্ড অফিসে খরচ কইরা আইছি ভাই।’ জবাবে কামাল হোসেন বলেন, ‘হেইডা দিছেন? এসিল্যান্ড স্যারেরটা দিছেন?’ এরপর তিনি টাকাগুলো গুছিয়ে নেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কামাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তিতাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমাইয়া মমিন বলেন, ভিডিওটি আমাদের নজরে আসার পর কামাল হোসেনকে শোকজ করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জাহিদ পাটোয়ারী/এমএন/জেআইএম