আইন-আদালত

মডেল মেঘনা আলমের হাজিরা, প্রতিবেদন দাখিলে নতুন তারিখ

 

প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলায় আলোচিত মডেল মেঘনা আলম আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এহসানুল ইসলামের আদালতে তিনি হাজিরা দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, শুনানিতে তদন্ত কর্মকর্তা মেঘনার জব্দ করা মোবাইল ফোন, ম্যাকবুক ও ল্যাপটপের ফরেনসিক প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। আদালত এই নিয়ে নতুন তারিখ ধার্য করেন। মামলাটিতে পরবর্তী হাজিরার তারিখ ২২ ডিসেম্বর ঠিক করা হয়েছে।

এর আগে, আগের এক শুনানিতে মেঘনা আলমের পক্ষে জব্দ করা পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তা খারিজ করে দিয়েছিলেন।

সেই শুনানিতে মেঘনার আইনজীবী মহিমা বাঁধন ও মহসিন রেজা পলাশ বলেন, মেঘনা আলম আন্তর্জাতিক লিডারশিপ ট্রেইনার হিসেবে পেশাগত কারণে বিদেশে যাতায়াত করেন। তাই পাসপোর্ট ফেরত দিলে তার পেশাগত কাজ ব্যাহত হবে না।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবেদনটির বিরোধিতা করে বলেছিলেন, মামলার তদন্ত এখনো গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। গুরুতর অভিযোগ থাকায় পাসপোর্ট ফেরত দিলে মেঘনা বিদেশে পালানোর চেষ্টা করতে পারেন, যা তদন্তে প্রভাব ফেলবে। এরপর আদালত আবেদন নামঞ্জুর করেন।

সেসময় আদালত তদন্ত সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, মেঘনার জব্দ করা ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোতে রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো আপত্তিকর বা রাষ্ট্রবিরোধী উপাদান রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিল করতে।

তবে নির্ধারিত দিনে প্রতিবেদন না আসায় আদালত অসন্তোষ না জানিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ ধার্য করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাজিরা শেষে আদালত ভবন থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকরা মেঘনা আলমকে ঘিরে ধরেন। তিনি ও তার আইনজীবীরা প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সাংবাদিকদের নানান প্রশ্নের উত্তর দেন।

এসময় আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত আইনজীবী, পুলিশ সদস্য ও বিচারপ্রার্থী সাধারণ লোকজনের মধ্যেও মেঘনাকে ঘিরে কৌতূহল দেখা যায়। অনেকে মোবাইল ফোনে ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে থাকেন।

আদালতের কার্যক্রম শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মেঘনা আলম জানান, আজ এক ভক্তের দেওয়া শাড়ি পরে আদালতে এসেছি। একজন ভক্ত এই শাড়িটা উপহার দিয়েছিলেন।

এসময় তিনি নিজেকে একজন রাজনৈতিক প্রশিক্ষক জানিয়ে তাকে মডেল বা অভিনেত্রী না বলারও অনুরোধ করেন।

গত ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে মডেল মেঘনাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তার ৩০ দিনের আটকাদেশ বাতিল হয়েছিল। গত ১৭ এপ্রিল ধানমন্ডি থানার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। গত ২৮ এপ্রিল আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন ২৯ এপ্রিল তিনি কারামুক্ত হন। এরপর থেকে এই মামলায় তিনি হাজিরা দিয়ে আসছেন।

এমডিএএ/এমআইএইচএস/এমএস