বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নানের সহযোগী সানজিদা আক্তারের নামে অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ জব্দের (ক্রোক ও ফ্রিজ) আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুদকের আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ।
দুদকের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসানের স্বাক্ষরিত এ আবেদনটি আদালতে দাখিল করা হয়। এটি বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান শেখ আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুর্নীতি মামলার তদন্তের অংশ। মামলাটি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় (সজেকা) ঢাকা-১ এ ২০২৫ সালের ২৭ জুলাই দায়ের করা হয়।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, শেখ আব্দুল হান্নান ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন এবং তা গোপন করার জন্য তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী সানজিদা আক্তারের নামে সম্পত্তি ক্রয় করেন।
স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে- রাজধানীর খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ-২ এলাকার ১৯ নম্বর সড়কের ৩৫ নম্বর প্লটে নির্মিত একটি ছয়তলা ভবনের তৃতীয় তলায় দুটি ফ্ল্যাট ৮২৩ দশমিক ৮৩ বর্গফুটের ৩/বি নম্বর ফ্ল্যাট (দলিল নম্বর ৪৫৭৫/২৪, তারিখ ০১/০৪/২০২৪) এবং ৬৯৯ দশমিক ২৫ বর্গফুটের ৩/৩ নম্বর ফ্ল্যাট (দলিল নম্বর ৪৫৭৩/২৪, তারিখ ০২/০৪/২০২৪)। এ দুটি ফ্ল্যাটের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৯৫ লাখ টাকা।
এছাড়া তদন্তে সানজিদা আক্তারের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে প্রায় ৪০ লাখ ৫৬ হাজার টাকার স্থায়ী আমানত (এফডিআর ও সঞ্চয় হিসাব) পাওয়া গেছে।
দুদক বলছে, তল্লাশিকালে শেখ আব্দুল হান্নানের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় ২৬ লাখ টাকার বিদেশি মুদ্রা, যা তার জ্ঞাত আয় ও উৎসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে দুদকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, তদন্তাধীন অবস্থায় সানজিদা আক্তার এসব সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তরের চেষ্টা করছেন। তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার আগেই যদি সম্পদ স্থানান্তর হয়ে যায়, তাহলে তা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে। এ কারণে দুদক কর্তৃপক্ষ আদালতের কাছে স্থাবর সম্পদ ক্রোক ও ব্যাংক হিসাবগুলো অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আবেদন জানায়।
আদালত শুনানি শেষে দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে সানজিদা আক্তারের নামে থাকা স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাবগুলো অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেন।
এমডিএএ/এমএএইচ/জিকেএস