কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্যের পরিবর্তে বিরাজ করছে নীরবতা ও সতর্ক পরিবেশ। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক, চত্বর ও ক্যাফেটেরিয়াগুলো ছিল প্রায় ফাঁকা।
পরিস্থিতির কারণে বেশ কয়েকটি বিভাগে আজকের ক্লাস ও পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
জানা গেছে, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ১৮ ব্যাচ, মনোবিজ্ঞান বিভাগের ৬০ ব্যাচ, মার্কেটিং বিভাগের ৩০ ব্যাচ, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ১৭ ব্যাচের ক্লাস, ইতিহাস বিভাগের ১৭ ব্যাচের মিডটার্ম পরীক্ষা, বাংলা বিভাগের প্রায় সবগুলো ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৮ ব্যাচের ক্লাস টেস্টসহ আরও কয়েকটি বিভাগের নির্ধারিত ক্লাস ও পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মেহরাব হোসেন বলেন, ‘আমাদের আজ ক্লাস টেস্ট ছিলো। কিন্তু গতকাল বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের নৈরাজ্য আমাদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি করায় আমরা স্যারের কাছে ক্লাস টেস্ট বাতিলের দাবি জানাই। স্যার আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে, ক্লাস টেস্টের সময় পরিবর্তন করেছেন।’
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো নির্ধারিত রুটে চলছে বলে জানিয়েছেন পরিবহন ম্যানেজার কামরুল হাসান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের সবগুলো বাস চলছে। এখনও কোনো দুর্ঘটনার কথা আমাদের কানে আসেনি। তবে শিক্ষার্থী অন্যদিনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।’
মূলত গতকাল রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় জোড়া হাতবোমা বিস্ফোরণের পরই ক্যাম্পাসে কিছুটা সর্তক পরিবেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অতিরিক্ত কোনো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে কিনা তা জানতে চাইলে প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। তারা সদস্য সংখ্যা বাড়িয়েছে। আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমও সজাগ রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, আমাদের শিক্ষার্থীরাই এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করছে।’
সকালে শাহবাগ, নীলক্ষেত, চিরসবুজ ও ফুলার রোড এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীরাও সতর্ক অবস্থানে দায়িত্ব পালন করছেন।
এফএআর/এমএমএআর/এমএস