তাইওয়ানের নিকট ৩৩ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের সামরিক যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম তাইওয়ানের নিকট সামরিক যন্ত্রাংশ বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।
শুক্রবার(১৪ নভেম্বর) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের এই অস্ত্র বিক্রি সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছে, বেইজিং তার সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও নিরাপত্তা রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে।
চীনের দাবি তাইওয়ান তাদের ভৌগোলিকগত অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে দ্বীপটিকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনা হবে। ওয়াশিংটন আনুষ্ঠানিকভাবে তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দিলেও তাইওয়ানে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই চীনের সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে প্রধান প্রতিরোধকারী শক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন>>
চীনের ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতি গ্রহণ করবে না তাইওয়ান
মার্কিন ডিফেন্স সিকিউরিটি কো-অপারেশন এজেন্সির প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাইওয়ান এফ-১৬, সি-১৩০ এবং দেশীয় ডিফেন্স ফাইটার (আইডিএফ) বিমানের জন্য নন-স্ট্যান্ডার্ড কম্পোনেন্টস, অতিরিক্ত ও মেরামত যন্ত্রাংশ, কনজিউমেবলস, এক্সেসরিজ এবং রিপেয়ার-অ্যান্ড-রিটার্ন সাপোর্ট চেয়েছিল। সে অনুযায়ী তাদের নিকট সামরিক যন্ত্রাংশ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চীনের অব্যাহত সামরিক চাপের মুখে আরও আগেই তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তের সরকার প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর অঙ্গীকার করেছিল।
কেএম