ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুরের মস্তফাপুরে ককটেল বিস্ফোরণ ও গাছ ফেলে অবরোধের প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
রোববার (১৬ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
মাদারীপুরের মস্তফাপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গা ব্রিজ ও কালকিনি উপজেলার ভূরঘাটা বাসস্ট্যান্ডসহ প্রায় ৮টি স্থানে গাছ কেটে ফেলা হয়। এতে মহাসড়কের উভয় দিকে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার ও সোমবার (১৬ ও ১৭ নভেম্বর) শাটডাউনের ঘোষণা দিয়েছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে রোববার সকাল থেকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুরের ৮টি স্থানে গাছ ফেলেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা প্রায় ২০টির মতো ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়ার। পরে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।
এই ঘটনায় মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়ক থেকে গাছগুলো অপসারণ করে পুলিশ ও মাদারীপুর জেলা সদর ও কালকিনি উপজেলা ফায়ার সার্ভিস। তাদের সঙ্গে গাছ সরানোর কাজে অংশ নেন স্থানীয় জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মীরা। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বেলা ১১টার দিকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর শেখ আহাদুজ্জামান বলেন, প্রথমে কালকিনি উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মহাসড়ক থেকে গাছ অপসারণের কাজ শুরু করে। পরে জেলা শহর থেকে আমরা যাই। পরে গাছগুলো অপসারণ করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. এহতেশামুল ইসলাম বলেন, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ডাসার ও কালকিনি থানার অংশে ৭ থেকে ৮টি স্থানে সড়কের পাশে থাকা গাছগুলো কেটে ফেলে গেছে। এসময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। তবে আমি ৪টি ককটেলের চিহ্ন দেখতে পেয়েছি। এখন যান চলাচল শুরু হয়েছে।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আদিল হোসেন বলেন, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে। যান চলাচল শুরু হয়েছে।
আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/এফএ/এমএস