নাটোরে খড় ও পাটকাঠির পালায় আগুন দেওয়ার অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলেকে আটক করে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৬ নভেম্বর) সকালে নাটোর সদর উপজেলার চৌগাছি মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটক নাজমুল হোসেন ওই গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে ও ইটভাটা ব্যবসায়ী। আবদুল খালেক ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১৩ নভেম্বর নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের অনলাইনে ডাকা ‘লকডাউন’ কর্মসূচির রাত থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত গ্রামের অন্তত সাতটিস্থানে খড় ও পাটকাঠির পালায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রাতের অন্ধকারে নির্জন স্থানে এসব আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে এলাকাবাসী আগুন দেওয়ার ঘটনায় কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি। রোববার ভোরে নাজমুল হোসেন মোটরসাইকেল নিয়ে নিজ গ্রামে ঘোরার সময় স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নাজমুল হোসেনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
গ্রামের বাসিন্দা আবু জাফর বলেন, গ্রামে কে বা কারা আগুন দিচ্ছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে আমরা গতকাল থেকে রাতে পাহারার ব্যবস্থা করেছি। পাহারায় দায়িত্ব পালনকারীরাই ভোরে নাজমুল হোসেনকে আটক করে। তিনি সন্দেহজনকভাবে চলাফেরা করছিলেন।
তবে বেঁধে রাখা অবস্থায় নাজমুল হোসেন উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি নির্দোষ। মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে কাজের জন্য বের হয়েছিলাম। আমি ইটভাটা ব্যবসায়ী। আমি কেন আগুন ধরাতে যাব?
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুর রহমান বলেন, স্থানীয়দের মারধরের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে স্থানীয়দের মৌখিক অভিযোগেরভিত্তিতে নাজমুলকে থানায় আনা হয়। পরবর্তীতে যাচাই করে দেখা যায় আটক নাজমুলের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
রেজাউল করিম রেজা/এনএইচআর/এমএস