ধর্ম

ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগে আজান দিলে করণীয় কী?

প্রশ্ন: ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগে আজান দিয়ে ফেললে করণীয় কী? ওই আজান হবে নাকি আবার আজান দিতে হবে?

উত্তর: ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগে আজান দিলে তা শুদ্ধ হয় না। কখনও এ রকম ভুল করে ফেললে ওয়াক্ত হওয়ার পর পুনরায় আজান দিতে হবে।

ওয়াক্তের আগে আজান দিলে কেউ ভুল করে তখনই অর্থাৎ ওয়াক্ত হওয়ার আগেই ফরজ নামাজ পড়ে নিতে পারে। রমজানে মাগরিবের আজান সময়ের আগে দিলে মানুষের রোজা না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আজান দেওয়ার ক্ষেত্রে খুব সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি যেন কোনোভাবেই ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগে আজান দেওয়া না হয়। আর কখনও এ রকম ভুল হলে ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর আবার আজান দিতে হবে যেমন ওপরে উল্লেখ করেছি।

পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের জন্য আজান দেওয়া সুন্নাতে মুআক্কাদা কেফায়া। অর্থাৎ কোনো মহল্লার মসজিদে আজান না হলে বা কেউ আজান না দিলে সুন্নত ছেড়ে দেওয়ার জন্য সবাই গুনাহগার হবে। মসজিদ ছাড়া বাড়িতে বা অন্য কোথাও একাকী বা জামাতে নামাজ পড়লে আজান দেওয়া মুস্তাহাব।

আজান দেওয়া অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। মুয়াজ্জিন আল্লাহর কাছে অত্যন্ত মর্যাদার অধিকারী। বিভিন্ন হাদিসে আজান দেওয়ার প্রভূত ফজিলত ও সওয়াব বর্ণিত হয়েছে। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, মুয়াজ্জিনের আজান ধ্বনির শেষ সীমা পর্যন্ত তাকে ক্ষমা করা হয় এবং প্রত্যেক সজীব ও নির্জীব বস্তু তাকে সত্যায়ন করে। (মুসনাদে আহমদ)

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে সা’সাআহ (রহ.) বলেন, একদিন আবু সাইদ খুদরি (রা.) তাকে বললেন, তুমি তো ছাগল ও মরুভূমি ভালোবাসো। তুমি যখন তোমার ছাগল চরানোর কাজে বা মরুভূমিতে থাকবে আর নামাজের জন্য আজান দেবে, তখন উচ্চৈস্বরে আজান দিও। কারণ মুয়াজ্জিনের আজানের ধ্বনি যতদূর পর্যন্ত মানুষ, জিন ও অন্যান্য বস্তু শুনতে পাবে, কেয়ামতের দিন তারা তার জন্য সাক্ষ্য দেবে। আমি এটা আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কাছে শুনেছি। (সহিহ বুখারি)

ওএফএফ/জেআইএম