নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ছাত্রদল নেতা মীর হোসেন সাদ্দাম হত্যার আসামিরা জামিনে এসে এবার পুরো পরিবারকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে এমন অভিযোগ করেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
এর আগে গত ২৬ এপ্রিল সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের দুর্গানগর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত সেফটিক ট্যাংক থেকে পলিথিন মোড়ানো সাদ্দামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সাদ্দাম রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ছিলেন।
রাজগঞ্জ ইউনয়নবাসীর আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ছাত্রদল নেতা মীর হোসেন সাদ্দামকে যারা হত্যা করেছে তাদের মধ্যে আটককৃতদের অধিকাংশই আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে সাদ্দামের পরিবারকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। দুজন আসামি জামিন পেয়ে বিদেশ পাড়ি দিয়েছে। কোনো এক অদৃশ্য কারণে হত্যাকাণ্ডর ঘটনায় জড়িত সবাই জামিনে বের হচ্ছে। যার কারণে নিহত সাদ্দামের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান তারা।
সাদ্দামের স্ত্রী সুবর্ণা আক্তার বলেন, অল্প বয়সেই আমাকে বিধবা হতে হলো। আমার বাচ্চার বয়স ৯ মাস। সে দুনিয়ার কিছু বুঝে উঠার আগেই বাবাহারা হলো। আমার স্বামীকে যারা হত্যা করেছে তারা এখন আবার জামিনে এসে আমাদেরকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় থাকতে হচ্ছে। ভয় হচ্ছে, কখন আমাদেরও একই পরিণতি হয়।
সাদ্দামের মা মমতাজ বেগম বলেন, তারা আমার ছেলেকে কত কষ্ট দিয়ে মেরেছে। মেরে তার মরদেহ প্লাস্টিকে মুড়িয়ে সেফটিক ট্যাংকে ফেলে রেখেছে। এখন আবার তারা বের হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমাদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আমার ছেলের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই।
নিহত সাদ্দামের বড় ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল বলেন, পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার করলেও অদৃশ্য কারণে সবাই জামিন নিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে। কাদের ইশারায় তারা জামিন নিচ্ছেন? আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির জোর দাবি জানাই।
মানববন্ধনে নোয়াখালী জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মুরাদ জিয়াউর রহমান সুমন, রাজগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি মহিন উদ্দিন, রাজগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলাম মঞ্জু সহ এলাকার স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও নিহত সাদ্দামের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ইকবাল হোসেন মজনু/এনএইচআর/জেআইএম