তথ্যপ্রযুক্তি

টিকটকারদের ভালো রাখতে নতুন ফিচার

টিকটক ব্যবহারকারীদের ডিজিটাল অভ্যাস আরও সচেতন ও ভারসাম্যপূর্ণ করতে প্ল্যাটফর্মটি চালু করেছে নতুন ‘টাইম অ্যান্ড ওয়েল-বিয়িং’ ফিচার। টিকটক বলছে, নিরাপত্তা ও মানসিক সুস্থতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে আনা এই আপডেটে যোগ হয়েছে একাধিক টুল, যা ইউজারদের স্ক্রিন টাইম নিয়ন্ত্রণ, মানসিক প্রশান্তি অর্জন এবং ইতিবাচক অনলাইন অভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। মোট কথা টিকটকারদের ভালো রাখতে নতুন এ ফিচার।

নতুন কী ফিচার যুক্ত হলো: নিরাপত্তা ও কমিউনিটি গাইডলাইনকে গুরুত্ব দিয়েই নতুন সব টুল তৈরি করা হয়েছে। মূল ফিচারগুলো হলো:

১. অ্যাফারমেশন কার্ড : ব্যবহারকারীরা প্রতিদিনের উদ্দেশ্য ঠিক করতে পারবেন। ১২০টির বেশি মোটিভেশনাল কার্ড ডাউনলোড বা শেয়ার করা যাবে। মানসিক সুস্থতা ও দৈনিক ফোকাস বজায় রাখতে সহায়ক হবে সেটি।

২. সাউন্ড জেনারেটর : প্রশান্তিদায়ক শব্দ, যেমন বৃষ্টি, সমুদ্রের ঢেউ, হোয়াইট নয়েজ। এই ফিচার ঘুম, রিল্যাক্সেশন ও মনোযোগ বাড়াতে উপযোগী হবে।

৩. ব্রিদিং এক্সারসাইজ : বিভিন্ন ধরনের শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন। এটি স্ট্রেস কমাতে এবং দেহ-মনের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সহায়ক হবে।

চারটি নতুন ওয়েল-বিয়িং মিশন দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যকর ডিজিটাল অভ্যাস গড়ে তুলতে প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়েছে চারটি মিশন:

১. স্লিপ আওয়ারস মিশন: আট সপ্তাহের ঘুম ব্যবস্থাপনা চ্যালেঞ্জ। ‘ওয়েল-বিয়িং ট্রি’ ভার্চুয়াল ট্র্যাকিং সিস্টেম দিয়ে অগ্রগতি দেখা যাবে।

২. ডেইলি স্ক্রিন টাইম ব্যাজ: নির্ধারিত দৈনিক স্ক্রিনটাইম মেনে চললে পাওয়া যাবে ব্যাজ। নিজেকে নিয়মিত নিয়ন্ত্রণে উৎসাহিত করে

৩. উইকলি স্ক্রিন টাইম রিপোর্ট: প্রতি সপ্তাহে ব্যবহারকারী জানতে পারবেন টিকটকে কত ঘণ্টা সময় ব্যয় করেছেন। ব্যবহারের সময় নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এই ফিচার।

৪. ওয়েল-বিয়িং অ্যাম্বাসেডর মিশন: বন্ধুদের এসব টুল ব্যবহার করতে উৎসাহিত করলে মিশন সাকসেসফুল হবে। সামাজিকভাবে সুস্থ ডিজিটাল অভ্যাস তৈরি করার উদ্যোগ এটি।

কিশোরদের ওপর ইতিবাচক প্রভাব:

টিকটক জানিয়েছে, ডিজিটাল ওয়েলনেস ল্যাব, টিকটকের গবেষণা ও ইয়ুথ কাউন্সিলের সুপারিশে এসব টুল তৈরি করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে কিশোর-কিশোরীদের দুই-তৃতীয়াংশ ডিজিটাল সময় ব্যবস্থাপনার টুলকে উপকারী মনে করে।

শাহজালাল/আরএমডি