দেশজুড়ে

দলীয় স্বার্থে অন্ধ হয়ে অনেকে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছেন: সাকি

দলীয় স্বার্থে অন্ধ হয়ে অনেকে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে গণসংহতি আন্দোলনের এক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচন এই তিনটি জিনিস আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনটিই এখন একসূত্রে গাঁথা। নির্বাচন না হলে সংস্কারের কাজগুলো বাস্তবায়ন করতে পারবো না। কিন্তু অনেকেই নির্বাচন বানচাল করতে চান। অন্তর্বর্তী সরকারের উপরে অনেকগুলো দল, বিশেষ করে দুই-একটি দল প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। তারা এখন ভাবছেন নির্বাচনের দরকার কী, আমরা তো ক্ষমতায় আছি। ক্ষমতার ভালোই ভাগ পাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, তারা নিজেদের স্বার্থে অন্ধ হয়ে গিয়ে বুঝতে পারছেন না যে, নির্বাচন যথার্থভাবে অনুষ্ঠিত না হলে, সংকট ঘনিভূত হবে। অর্থনীতিতে এবং ভূ-রাজনৈতিক যে বাস্তবতা, তাতে আমরা একটা মহাবিপদের মুখে পড়বো। নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করা মানে বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো। যে সমস্ত দল, দলীয় স্বার্থে অন্ধ হয়ে নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছেন, তারা কি কেবল না বুঝে করছেন? আসলে, তারা অনেকে বুঝেই করছেন। বুঝেই তারা এইরকম একটা ভয়ঙ্কর খেলায় লিপ্ত হচ্ছেন।

নির্বাচন বানচালের কোনো তৎপরতা বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না মন্তব্য করে জোনায়েদ সাকি বলেন, এই মুহূর্তে বিচার, সংস্কার, নির্বাচন বাংলাদেশের প্রধান জাতীয় স্বার্থ। সেই স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে, যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা হয়েছে তা সফল করতে হবে। তার মধ্যে একটি নির্বাচিত সংসদ এবং নির্বাচিত সরকার আসতে হবে।

গণসংহতি আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের উদ্যোগে এ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দলের দলটির জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, মহানগর কমিটির সমন্বয়কারী নিয়ামুর রশীদ বিপ্লব, নির্বাহী সমন্বয়কারী পপি রাণী সরকার, জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী আলমগীর হোসেন আলম ও জেলা ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা প্রমুখ।

সমাবেশের আগে শহরের খানপুর এলাকা থেকে মিছিল বের করেন দলটির নেতা-কর্মীরা। দলীয় প্রতীক ‘মাথাল’ নিয়ে তারা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নিতাইগঞ্জে গিয়ে মিছিল শেষ করেন।

মোবাশ্বির শ্রাবণ/কেএইচকে