আইন-আদালত

ফেসবুকে পরিচয়ের পর খুন, ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন

ফেসবুকে পরিচয়ের পর নোয়াখালীর আমীর হোসেনকে খুনের মামলায় তার ফেসবুক বন্ধুসহ দুই যুবকের মৃত্যুদণ্ড এবং একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৩০ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. সাব্বির ফয়েজ এ রায় ঘোষণা করেন।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন জানিয়েছেন এ তথ্য।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন তারেক আহমেদ ও হৃদয় আলী। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন রাসেল সরদার। এছাড়া রায়ে তিন আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অপহরণের অন্য ধারায় তিন আসামিকে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। আদালত জানিয়েছেন, তাদের সাজা একসঙ্গে চলবে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর ঢাকার আশকোনা এলাকা থেকে নিখোঁজ হন আমীর হোসেন। কয়েক মাস ধরে পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজে না পেলে পরের বছরের ১৩ এপ্রিল তার বড় ভাই বিল্লল হোসেন দক্ষিণখান থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে আমীর হোসেনের বস্তাবন্দী অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।

মামলায় বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী আমীর হোসেনের সঙ্গে আসামি তারেকের ফেসবুকে পরিচয় হয়। ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর উত্তরা এলাকায় দেখা করার কথা জানতে পারায় তারেক গাজীপুরের চৌরাস্তায় ভুক্তভোগীর সঙ্গে দেখা করেন। এরপর তারা মাওনা চৌরাস্তায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে খাবার খান। খাবারের সঙ্গে ১০টি ঘুমের ওষুধ মেশানো হয়।

রিকশা যোগে বাড়ি ফেরার পথে ভুক্তভোগী ঘুমিয়ে পড়েন। পরবর্তী দুই-তিন দিনেও ভুক্তভোগীর ঘুম না ভাঙায়, আসামিরা পরিবারের কাছে মুক্তিপণ চাওয়ার কৌশল নেয়। কিন্তু পরিবারের তরফ থেকে টাকা না দেওয়ায় তারা আমীর হোসেনকে হত্যা করে।

এমডিএএ/এসএনআর/জেআইএম