দেশজুড়ে

ইউপি চেয়ারম্যানের জানাজায় অঝোরে কাঁদলেন ইউএনও

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে রূপাপাত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সোনা মিয়ার জানাজায় অঝোরে কাঁদলেন বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হাসান চৌধুরী। তার কান্নাজড়িত বক্তব্যে জানাজায় আসা কয়েক হাজার মুসল্লি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।

রোববার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের কদমী গ্রামে মিজানুর রহমান সোনা মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন খেলার মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের সমাগম হয়।

মিজানুর রহমান সোনা মিয়া শনিবার (২৯ নভেম্বর) দিনগত রাত ১১টার দিকে হৃদরোগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। তিনি রূপাপাত ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মৃত আবুল হোসেন মোল্যার বড় ছেলে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিগত সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ ১৭টি মামলা হয়।৫ আগস্টের পরও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। গত ৭ নভেম্বর উপজেলা বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে দুই গ্রুপের সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও বিএনপি অফিস ভাঙচুরের মামলায়ও তাকে আসামি করা হয়। এসব মামলার কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। মামলার চাপ সহ্য করতে না পেরেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।

জানাজার আগে শোকসন্তপ্ত পরিবার ও এলাকাবাসীকে সান্ত্বনা জানিয়ে ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, সমাজসেবামূলক সংস্থা কাঞ্চনমুন্সি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান দৈনিক ঢাকা টাইমসের সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন, ফরিদপুর -১ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ড. মো. ইলিয়াস মোল্যা, বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হাসান চৌধুরী, ফরিদপুর-১ আসনে এনসিপি মনোনীত প্রার্থী হাসিবুর রহমান অপু ঠাকুর, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও গুনবহা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এছাড়াও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিব্বির আহমেদ, ৯টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা, উপজেলা বিএনপি, জামায়াত ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। জানাজা শেষে কদমি পারিবারিক গোরস্তানে তাকে দাফন করা হয়।

এন কে বি নয়ন/এমএন/জেআইএম