চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির উদ্যোগে ‘হেমন্তসন্ধ্যা ও হাঁস পার্টি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় চর্যাপদ একাডেমির সভাপতির কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শুরুতে সদ্যপ্রয়াত চাঁদপুর সংগীত নিকেতনের অধ্যক্ষ স্বপন সেনগুপ্তের মৃত্যুতে শোকপ্রস্তাব আনা হয়।
একাডেমির সভাপতি আয়েশা আক্তার রুপার সভাপতিত্বে মহাপরিচালক অ্যাডভোকেট রফিকুজ্জামান রণির সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন রেলওয়ে কিন্ডারগার্টেনের অধ্যক্ষ মাহমুদা খানম, প্যাপিরাস পাঠাগারের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান কবির ও নাট্যজন অ্যাডভোকেট শ্যাম সুন্দর রায়।
আলোচনায় অংশ নেন একাডেমির নিয়ন্ত্রণ পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুল্লা কাহাফ, পর্যবেক্ষক ও ন্যায়পাল দিলীপ ঘোষ, পরিচালক ফেরারী প্রিন্স, সহযোগী পরিচালক জয়ন্তী ভৌমিক, নির্বাহী পরিচালক আইরিন সুলতানা লিমা, প্রচার ও প্রকাশনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, চাঁদপুর ল’ কলেজের প্রভাষক অ্যাডভোকেট রোজিনা বেগম চৌধুরী, কলেজ শিক্ষক মানসুরা বেগম আসমা, প্যাপিরাস পাঠাগারের প্রধান পরিচালক মিজানুর রহমান স্বপন, উপদেষ্টা মোহাম্মদ শাহ আলম, ভাসানী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংঘের কর্ণধার সাইফুল খান রাজিব, আবদুর রব ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব জাহেদুর রব জাহেদ রানা, সাংবাদিক জামাল আখন্দ, সাহিত্যানুরাগী আকবর হোসেন লিটন ও ঝরনা আক্তার।
আরও পড়ুন‘সেলিব্রেটিং বাংলাদেশি লিজেন্ডস’ সিরিজে হুমায়ূন আহমেদ অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার পেলেন মহুয়া রউফ
একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা রফিকুজ্জামান রণি বলেন, ‘হেমন্ত ছিল রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের সবচেয়ে প্রিয় ঋতু। তাঁর শ্রেষ্ঠ কবিতাগুলোর মধ্যে ঘুরেফিরে ঋতু হেমন্তের রূপচিত্র বারবার উঠে এসেছে। হেমন্তকালের শিশিরের স্নিগ্ধতার মতো আকর্ষণীয় দৃশ্য অন্য ঋতুতে সচরাচর দেখা যায় না।’
তিনি বলেন, ‘সবুজ পাতার খামের ভেতর/ হলুদ গাঁদা চিঠি লেখে/ কোন পাথারের ওপার থেকে/ আনলো ডেকে হেমন্তকে।’ ঋতু হেমন্তের পরিচয় এভাবেই তুলে ধরেছিলেন কবি সুফিয়া কামাল।’
সভাপ্রধান আয়েশা আক্তার রুপা বলেন, ‘শীতের পূর্বাভাস নিয়ে হেমন্ত আসে। খেজুরের রস ও পিঠাপুলির আয়োজন মূলত হেমন্ত থেকেই শুরু হয়। একসময় গ্রামবাংলার মানুষের প্রাণের ঋতু ছিল হেমন্ত। ধানকাটার হিড়িক পড়তো এই ঋতুতে।’
সবশেষে উপস্থিত সবাইকে চালের রুটি ও চীনা হাঁসের মাংস দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। এসময় আনন্দঘন ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
এসইউ