আন্তর্জাতিক

চিপ সংকটে বিশ্ব, এআই ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা

ওপেনএআই, এক্স-এআই,আনথ্রপিক এবং মেটার মতো শীর্ষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কোম্পানিগুলোর নিরাপত্তা বৈশ্বিক মানদণ্ডের চেয়ে অনেক দূর পিছিয়ে রয়েছে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর ফিউচার অব লাইফ ইনস্টিটিউটের (এআই) সেফটি ইনডেক্সের নতুন সংস্করণে এমন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

এদিকে বিশ্বব্যাপী মেমোরি চিপ সংকটের কারণে এআই এবং ইলেকট্রনিকস কোম্পানিগুলোর উৎপাদন সীমিত করার খবর পাওয়া যাচ্ছে। প্রয়োজনের তুলনায় চিপের যোগান সংকটের কারণে দাম দ্রুত বাড়ছে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ট্রেন্ডফোর্স জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারির পর থেকে কিছু সেগমেন্টে দাম দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।

ফিউচার অব লাইফ ইনস্টিটিউটের স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল পরিচালিত এ মূল্যায়নে বলা হয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠান সুপার ইন্টেলিজেন্স বা মানুষের চেয়েও বুদ্ধিমান এআই তৈরি করার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। তবে এমন উন্নত সিস্টেম নিয়ন্ত্রণের জন্য সক্ষম কোনো শক্তিশালী কৌশল তাদের কারও নেই।

সম্প্রতি উন্নতমানের যুক্তিনির্ভর এআই সিস্টেমের সম্ভাব্য সামাজিক প্রভাব নিয়ে জনমনে উদ্বেগ বেড়েছে। সম্প্রতি আত্মহত্যা ও আত্ম-ক্ষতির কয়েকটি ঘটনার জন্য এআই চ্যাটবটকে দায়ী করা হয়েছে।

ফিউচার অব লাইফ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট ও এমআইটি–এর অধ্যাপক ম্যাক্স টেগমার্ক বলেন, এআই–চালিত হ্যাকিং মানুষকে সাইকোসিস বা আত্ম-ক্ষতির দিকে ঠেলে দেওয়ার মতো ঘটনার পরও যুক্তরাষ্ট্রে এআই কোম্পানিগুলো এখনো রেস্টুরেন্টের চেয়েও কম নিয়ন্ত্রিত। বরং তারা বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা নীতিমালা থেকে বাঁচতে লবিং করছে।

এদিকে চিপ সংকটের কারণে জাপানের ইলেকট্রনিকস দোকানগুলোতে হার্ড-ডিস্ক ড্রাইভ কেনাকাটায় সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। চীনের স্মার্টফোন নির্মাতারা সম্ভাব্য মূল্যবৃদ্ধির সতর্কতা দিয়েছে। এদিকে মাইক্রোসফট, গুগল ও বাইটড্যান্সসহ বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো মাইক্রন, স্যামসাং ও এসকে হাইনিক্সের মতো নির্মাতাদের কাছ থেকে চিপ সরবরাহের নিশ্চয়তা পেতে তৎপর হয়েছে।

সূত্র : রয়টার্স

কেএম