জাতীয়

৪ ক্রীড়া স্থাপনা উদ্বোধন, ৬টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

দেশের ১০টি জেলায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আওতায় নির্মিত চারটি ক্রীড়া স্থাপনা উদ্বোধন, ছয়টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং একটির বাস্তবায়ন কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালি এসব স্থাপনার উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

উদ্বোধন হওয়া ক্রীড়া স্থাপনার মধ্যে তিনটি মিনি স্টেডিয়াম এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। এক্ষেত্রে মোট ব্যয় হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। অন্যদিকে ছয়টি মিনি স্টেডিয়ামের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩১ কোটি টাকা।

এছাড়া ১২ কোটি ৭০ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি মিনি স্টেডিয়ামের বাস্তবায়ন কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে।

ভোলা জেলার গজনবী স্টেডিয়াম, ভোলা জেলা সুইমিংপুল, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা মিনি স্টেডিয়াম এবং মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা মিনি স্টেডিয়াম উদ্বোধন করা হয়।

এছাড়া নড়াইলের বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ স্টেডিয়াম ও টেবিল টেনিস ভবনের অধিকতর উন্নয়ন এবং ইনডোর স্টেডিয়াম ও ভলিবল স্টেডিয়াম নির্মাণ, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা মিনি স্টেডিয়াম, ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা মিনি স্টেডিয়াম, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা মিনি স্টেডিয়াম, পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা মিনি স্টেডিয়াম এবং নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা মিনি স্টেডিয়ামের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।

সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলায় শহীদ মো. আসিফ হাসান মিনি স্টেডিয়ামের বাস্তবায়ন কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম তৈরি করার মাধ্যমে আমরা যে খেলাধুলা বিকেন্দ্রীকরণের কথা বলি, সেটা বাস্তবায়নের একটা উদ্যোগ। উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়ামগুলোকে আমরা মনে করি খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক চর্চার একটা হাব হিসাবে। মোটামুটি আধুনিক মানের যতটা করা যায় আমরা উপজেলা পর্যায়ে সেভাবে স্টেডিয়ামগুলো করেছি।

ক্রীড়ার উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, আমরা একটি আন্তর্জাতিক মানের স্পোর্টস ইনস্টিটিউট গঠন করতে যাচ্ছি। আশা করি খুব দ্রুত কাজের বাস্তবায়ন দেখতে পাবো। রাঙ্গামাটিতে বিকেএসপির একটি আঞ্চলিক শাখা স্থাপনের কাজ চলছে।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ক্রীড়া ক্ষেত্রে আমরা নারী ও পুরুষের বেতন কাঠামোতে অনেক বেশি বৈষম্য প্রত্যক্ষ করেছি। বৈষম্য যতটা সম্ভব কমিয়ে আনা যায় সেই নির্দেশনা দিয়েছি ফেডারেশনগুলোকে।

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আরও বলেন, ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নারী ক্রিকেটারদের ভাতা এবং ট্যুর ফি পুরুষ ক্রিকেটারদের সমান করেছে। নারী ক্রিকেটারদের বেতন ৩৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। আমরা বাফুফে-কেও পরামর্শ দিয়েছি নারী ফুটবলারদের বেতন বাড়ানোর জন্য। আমাদের পক্ষ থেকে বলেছি, অন্তত সেটা দ্বিগুণ হওয়া উচিত। এজন্য আমরা বাফুফেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ারও উদ্যোগ নিয়েছি।

যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. মাহবুব-উল-আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরএমএম/এমএমকে/জেআইএম